Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশাসনিক রিপোর্ট পেশ, বরিস আরো বিপাকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

পার্টিগেটে নিয়ে আরো কোণঠসা বরিস জনসন। প্রশাসনিক তদন্তের রিপোর্টে নেতৃত্বের ব্যর্থতার কথা বলা হলো। পার্টিগেট নিয়ে প্রশাসনিক রিপোর্ট পেশ করার পর দুঃখপ্রকাশ করেছেন জনসন। প্রশাসনিক রিপোর্টের পর জনসনের উপর চাপ আরো বেড়েছে। সোমবার পার্লামেন্টে বিরোধীরা তাকে চেপে ধরেন, একের পর এক প্রশ্ন করেন। করোনাবিধি ভেঙে ‘নিজের মদ নিজে আনো’ পার্টি নিয়ে জনসন এর আগে ক্ষমা চেয়েছিলেন। সোমবার আবার তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন। কিন্তু বিধি ভেঙে একটা পার্টি নয়, জন্মদিনের পার্টি-সহ অনেকগুলি জমায়েতে জনসন অংশ নিয়েছিলেন। উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক অফিসার সু গ্রে এরকম ১২টি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করেছেন। যার মধ্যে তিনটি অভিযোগ এখনো জনসমক্ষে আসেনি। গ্রেফতার রিপোর্টে বলেছেন, এই ধরনের পার্টি নেতৃত্বের ব্যর্থতার দিকটাই দেখিয়ে দিচ্ছে। এর মধ্যে কিছু পার্টির অনুমতি দেয়া একেবারেই উচিত হয়নি। গ্রের রিপোর্টের পর লন্ডন মেট্রোপলিটান পুলিশ পার্টিগেট নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তারা ১২টি পার্টি নিয়েই তদন্ত করবে। গ্রে জানিয়েছেন, পুলিশ ১২টি পার্টি নিয়ে তদন্ত তো করবেই, সেই সঙ্গে তারা এটাও দেখবে জনসন করোনা বিধি ভেঙে এরকম আরো কোনো পার্টি করেছিলেন কি না। রিপোর্টে গ্রে পরিষ্কার করে বলেননি, এই পার্টি করে নিয়ম ভাঙা হয়েছে কি না। তবে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তার পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট কড়া। ১২ পাতার রিপোর্টে তিনি বলেছেন, ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট এবং ক্যাবিনেট অফিস বিভিন্ন সময়ে নেতৃত্ব দেয়া ও সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়ছে, করোনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার যখন নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম চালু করছে, সেই সময় কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের জমায়েতের ব্যাখ্যা কোনোভাবেই দেয়া যায় না। অন্তত কিছু জমায়েত থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে, সরকারের কাজের ক্ষেত্রে যে উঁচু মাপদণ্ড থাকা দরকার, সেটা এখানে ছিল না। যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা তাদের কাছ থেকে এই উঁচু মাপদণ্ড প্রত্যাশা করে। গত ডিসেম্বরে পার্টিগেটের অভিযোগ আসার পর জনসনের উপর ইস্তফা দেয়ার চাপ বাড়ে। এমনকী তার দলের কিছু পার্লমেন্ট সদস্যও এই দাবি তোলেন। সোমবার হাউস অফ কমন্সে জনসন বলেছেন, ‘আমি দুঃখিত। যা ঘটেছে ও যেভাবে ঘটেছে তার জন্য আমি দুঃখিত। এটা বলার কোনো অর্থ নেই যে, কী কী বিধি ছিল, এটাও বলা অর্থহীন যে, কর্মীরা খুবই কঠোর পরিশ্রম করছিলেন। করোনা সকলের জন্যই কঠিন সময়।’ তিনি বলেছেন, ‘ডাউনিং স্ট্রিটে যেভাবে কাজ হয়, তাতে কিছু পরিবর্তন দরকার। আমি বিষয়টি দেখব এবং ঠিক করব।’ অধিবেশন চলার সময় স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির নেতা আয়ান ব্ল্যাকফোর্ড বলেন, জনসন মিথ্যা কথা বলছেন। তখন তাকে অধিবেশন থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়। কিন্তু প্রশাসনিক রিপোর্টের পর জনসন আরো চাপে পড়লেন। এখন তার দলের সদস্যরা জনসনকে সরিয়ে দেয়ার দাবি আরো জোরালোভাবে তুলতে পারেন। এই নিয়ে ভোটাভুটি করার দাবি তুলতে পারেন। এট ঠিক, রিপোর্টে এটা বলা হয়নি, জনসন ফৌজদারি অপরাধ করছেন। এটাই তার একমাত্র রক্ষাকবচ। সেজন্য তিনি হাঁফ ছাড়ার কিছুটা সময় পেতে পারেন। বিরোধী লেবার পার্টির তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই রিপোর্ট প্রকাশের আগেই মানুষ জেনে গেছিলেন যে, জনসন করোনার বিধি ভেঙে পার্টি করেছেন। তিনিই নিয়ম তৈরি করেছেন। তিনিই ভেঙেছেন। তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার উপযুক্ত নন। রয়টার্স, এপি, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ