Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেলারুশ ছাড়ছে মার্কিন সরকারি চাকুরেদের পরিবার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:২৫ পিএম

বেলারুশে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে উদ্যোগী বাইডেন প্রশাসন৷ ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে উত্তেজনা বাড়ছে৷ এদিকে, রাশিয়ার মিত্র দেশ বেলারুশ৷ এই পরিস্থিতিতে সে দেশে যতজন মার্কিন নাগরিক-সরকারি চাকুরে রয়েছেন, তাদের পরিবারকে বেলারুশ ত্যাগের নির্দেশ দিল অ্যামেরিকা৷

সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্ট মার্কিন নাগরিকদের পরিবারকে বেলারুশ ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে৷ পাশাপাশি, কোনও মার্কিন নাগরিক যাতে বেলারুশে না যান, সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে৷ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সে দেশে আইনের যথেচ্ছ প্রয়োগ করা সম্ভব, আটকের ঝুঁকি রয়েছে৷ বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তে রুশ বাহিনীর সক্রিয়তা বৃদ্ধির বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে৷

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন ইস্যুতেরুশ-মার্কিন বৈঠক ছিল যথেষ্ট উত্তপ্ত৷ দুই পক্ষই বাদানুবাদে জড়িয়েছিল৷ এরপরই মার্কিন নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করে ওয়াশিংটন৷ অ্যামেরিকার অভিযোগ ছিল, আগামী কয়েক সপ্তাহে বেলারুশে ৩০ হাজার পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়নের পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার৷ ইতিমধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে৷

আমেরিকার দাবি, বেলারুশে ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার রুশ সেনা রয়েছে৷ জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড জানান, ওয়াশিংটনের কাছে প্রমাণ রয়েছে, ফেব্রুয়ারির শুরুতে ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে ৩০ হাজারেরও বেশি সৈন্য মোতায়েন করতে চায় রাশিয়া৷

সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েনকে ‘আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুঁশিয়ারি’ বলে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন৷ অন্যদিকে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজা পাল্টা দাবি করেন, আমেরিকার হস্তক্ষেপ ‘উন্মত্ততা’ ছাড়া আর কিছুই নয়৷ জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলনকে তিনি ‘পিআর স্টান্ট’ বলেও উল্লেখ করেন৷ তার মতে, বেলারুশে বাহিনীর যৌথ মহড়া চলছে৷

ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়া তাদের দেশকে ব্যবহার করছে, এ কথা অস্বীকার করেছে বেলারুশও৷ একদিকে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চলছে৷ কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যুতে পশ্চিমের দেশগুলিতে উত্তেজনা বাড়ছে৷

ইউক্রেনের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে ওয়াশিংটনের প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে রাশিয়া৷ সোমবার সন্ধ্যায় রাশিয়া একটি চিঠি দিলেও তার বিষয় প্রকাশ্যে আনেনি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট৷ স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেছেন, ‘জনসমক্ষে এ নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই৷ তারা যদি প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চায়, বিষয়টি রাশিয়ার উপর ছেড়ে দেব৷’ ইউক্রেন-সহ অন্য মিত্র দেশগুলির সঙ্গেও ওয়াশিংটন আলোচনা জারি রাখবে,স্পষ্ট জানান মুখপাত্র৷

গত সপ্তাহে বাইডেন প্রশাসন ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে ক্রেমলিনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল৷ মস্কো জানিয়েছিল, ইউক্রেনে আগ্রাসনের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই৷ কিন্তু ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ দেয়া হবে না, যুক্তরাষ্ট্র-সহ জোটের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে এমন নিশ্চয়তা চেয়েছিল রাশিয়া৷

পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর বাহিনী প্রত্যাহার এবং রুশ সীমান্তে অস্ত্র মজুদের সমাপ্তির কথাও বলেছিল মস্কো৷ যদিও ওয়াশিংটন এবং ন্যাটো এই দাবিকে অযৌক্তিক বলে খারিজ করে দিয়েছিল৷ সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ