Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইসি আইনটি বাকশালের মতোই

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইনটি ‘বাকশালের মতোই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ যে কাজটা করতে পারেনি, বিগত ১৪ বছর ধরে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে যে কাজটা তারা (সরকার) ধীরে ধীরে পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে গেছে। একটা মোড়ক রেখেছে সামনে, যে বহুদলীয় গণতন্ত্র এখানে আছে। আসলে এখানে কোনো বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই। দুইটি নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দেয়ার অধিকার পর্যন্ত পায়নি এবং আবার একটা আইনও তৈরি করলো কয়েকদিন আগে। ঠিক সেই বাকশালের মতোই। যেটা ১১ মিনিটে ছিলো, এটা সাতদিনের মধ্যে একটা আইনও পাস করে নিলো সংসদে।

গতকাল রোববার স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন বিএনপির জাতীয় কমিটির উদ্যোগে বাকশাল দিবস উপলক্ষে ’২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ : বাকশাল’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গত ২৭ জানুয়ারি সংসদে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ পাসের পর প্রেসিডেন্ট সম্মতি দেয়ার পরে ২৯ জানুয়ারি রাতে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

বিএনপির ভার্চুয়াল এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘১৯৭৫ : বাকশাল’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এই গ্রন্থটি প্রকাশক করেছে বিএনপি

মির্জা ফখরুল বলেন, বাকশাল একটি গালিতে পরিণত হয়েছে। কেনো? এই বাকশালের মধ্য দিয়ে সেদিন দেশে অর্থনীতিকে, রাজনীতিকে, স্বপ্নকে ধবংস করা হয়েছিলো। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে তারা দেশ ও জাতিকে গভীর অন্ধকারে ভেতরে নিয়ে গিয়েছিলো। আজকে ঠিক একইভাবে দেখছি আওয়ামী লীগ দেশের অর্থনীতিকে দলীয়করণ করেছে, লুটতরাজের যে অর্থনীতি সেই অর্থনীতিতে পরিণত করেছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ডকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর হাতে দমন করে বিশেষ করে যারা স্বাধীন চেতা গণতান্ত্রিক মানুষ তাদেরকে হত্যা-গুমের মধ্য দিয়ে তাদেরকে ধবংস করে দেয়া হচ্ছে এবং প্রতিবাদের যে ভাষা সেই ভাষাকে বন্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন নির্বতনমূলক আইন তৈরি করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো আইন তৈরি করে যারা কথা বলতে চান তাদের কথা বলাটা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে ৪৭ বছর পরে আবার বাকশাল প্রতিষ্ঠার যে নীল নকশা শুরু হয়েছে এই নীলনকশাকে জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিহত করতে হবে। বিএনপির নেতৃত্বে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা পরিস্কার করে, সোচ্চার কন্ঠে বলছি যে, এই সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি নির্বাচনেরে মধ্য দিয়ে যাতে এদেশে আবার নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন-সোপান আমরা নির্মাণ করতে পারি আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্বে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র এক সাথে যায় না। ১৯৭২ থেকে ৭৫, ৭৫-এ বাকশাল প্রতিষ্ঠা এবং গত ১৪ বছর আওয়ামী লীগের এই শাসন, বিনা ভোটে নির্বাচিত সরকার, রাতে অন্ধাকারে ডাকাতির সরকার আজকে গায়ের জোরে বাংলাদেশ পরিচালনা করছে। সেজন্য বাংলাদেশেও আজকে সেই বাকশালের চিন্তা চেতনা যেটা অলিখিতভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে। তারা স্বৈরাচারী তারা গণতন্ত্র বিরোধী শক্তি। গণতন্ত্র নেই বলেই দেশ একটা অন্ধকারের গহবরের কিনায় পৌঁছেছে। এথেকে দেশকে রক্ষা করতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন সময় এসেছে দলমত নির্বিশেষে সকলে মিলে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারকে সরানোর।

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উপদযাপনে দলের জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বক্তব্য রাখেন।###



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ