Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজু ভাস্কর্যের সামনে শূন্যে নওগাঁর ইরা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৩০ এএম

প্রথম দেখায় মনে হবে হাত-পা ছেড়ে শূন্যে ভাসছে এক বালিকা। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার রাজু ভাস্কর্যসহ বেশ কয়েকটি স্থান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এসব ছবি। আক্ষরিক অর্থেই এখন প্রশংসার হাওয়ায় ভাসছে ছবিগুলো। ছবিতে উঠে আসা এ ধারার নাচকে বলে ব্যালে।

পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে রেনেসাঁর সময়কার ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যালে নাচ। পরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে নাচের এই অনন্য কৌশল। আর সেই নাচের শৈলী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ফ্রেমবন্দি হয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন নওগাঁর এই প্রতিভাবান শিল্পী। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা ছবির ওই মডেল নওগাঁ জেলা শহরের মেয়ে মুবাশশীরা কামাল ইরা। নওগাঁ শহরের বিজিবি ক্যাম্প রোডের ব্যবসায়ী আবু হায়াত মোহাম্মদ কামালের মেয়ে। পড়াশোনার ফাঁকে নাচের চর্চা করেন।

মুবাশশীরা কামাল ইরা জানান, ‘২৩ জানুয়ারি ছবিগুলো তোলা। দুই দিন পর ২৫ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড হয়। সেদিন থেকে আলোচিত।’

তিনি আরও জানান, পরিবারের সঙ্গে নওগাঁয় থাকেন। এসএসসি পাস করেন নওগাঁর সীমান্ত পাবলিক স্কুল থেকে। বর্তমানে নওগাঁ সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী। নওগাঁয় নাচের হাতেখড়ি গুরু সুলতান মাহমুদের মাধ্যমে। মা-বাবার উৎসাহে ঢাকায় কাজ করেছেন। কাজ শুরু হয় তিন মাস আগে। পরীক্ষামূলকভাবে ধানমন্ডির রাস্তায় কিছু ছবি তোলা হয়েছিল।

ইরার বাবা আবু হায়াত মোহাম্মদ কামাল জানান, তার চার মেয়ে। ইরা তৃতীয়। ব্যালে নাচ শিখেছেন ঘরে বসেই। ইউটিউব তার শিক্ষক। অনুপ্রেরণা মা। এখন ঢাকায় মাঝে মধ্যে পারফরম্যান্স করেন। ইরা পড়াশোনার মাঝে ব্যালে নাচ দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে আলোকিত করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

ইরার মা ফাহমিদা কামাল বলেন, প্রথমদিকে ওর বাবা রাজি হতেন না। মা হিসেবে আমি ওকে সাহস জুগিয়েছে। কিছুটা এগোতে দেখে ওর বাবাও তার জায়গা থেকে সরে এসেছেন। ইরা নাচ ছাড়াও পড়াশোনার পাশাপাশি জিম, স্কেটিং, টেনিস ও ক্রিকেট খেলে। সবটাতেই পারদর্শী।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ইরা বলেন, ‘ইচ্ছা আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলা বিভাগে ভর্তি হওয়ার। তার পর নাচের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা। এ ছাড়া পিএইচডি করে নাচের ভুবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ