পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন দু’সপ্তাহ পর বিদায় নেবেন। এই কয়েক দিনের মধ্যে কোনো নির্বাচন না থাকায় ইসি নিয়ে বিতর্ক করার মতো ইস্যু নেই। তারপরও খবরের শিরোনাম হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কখনো নিজেই নিজেদের মুখোমুখি অবস্থান নিচ্ছেন; কখনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠনের দায়িত্বশীলদের মুখোমুখি হচ্ছেন। কখনো আগের সিইসি ড. শামসুল হুদাকে খোঁচাচ্ছেন। বিশেষ করে সাংবিধানিক পদে থাকা সিইসি কে এম নূরুল হুদা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের ‘শিরোমণি’ হয়ে উঠছেন। সংবিধান বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজ ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন এমন ‘বেহায়া’ ব্যক্তিকে কি করে সাংবিধানিক পদ সিইসি করা হয়েছিল? সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, ‘আজ হোক-কাল হোক, নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংসের অপরাধে কে এম নূরুল হুদাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ এর আগে ২০২১ সালে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক সিইসি নূরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন।
সার্চ কমিটি গঠনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ আয়োজিত রাজনৈতিক দলের সংলাপ, সংসদে নির্বাচন কমিশন আইন পাস, র্যাবের সাবেক ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধকরণ, ১২ মানবাধিকার সংস্থার জাতিসংঘ শান্তি মিশন থেকে ‘র্যাব’ বাধা দেয়ার আবেদন, যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ ইত্যাদি ইস্যু দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ ছড়াচ্ছিল। সে উত্তাপকে ছাপিয়ে দেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। তিনি দাবি করেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রাতে হয়েছে তিনি এমন চিত্র দেখেনি; হয়ে থাকলে কেউ মামলা করতেন। অথচ নির্বাচনের পর সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে টিআইবি। ৩৩ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৫০টি আসনের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়। এসব আসনের শতকরা ৫০ থেকে ৭৫টি কেন্দ্রে আগের রাতে শতকরা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ব্যালটে সিলমারা হয়েছে। স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের এসব কাজে সহায়তা করেছে। সংস্থাটি রাতের সিলমারার তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে। এছাড়াও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ, সিপিবি, বিএনপি, নাগরিক ঐক্যসহ কয়েকটি দল নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করে। সে গণশুনাতিতে সারা দেশের রাতের ভোট দেয়ার চিত্র উঠে আসে। ওই সময় যারা গণশুনানি করেছেন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে এই প্রতিনিধির কথা হয়। তারা বলেন, ৪২ নাগরিকের সিইসির বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্টের কাছে অভিযোগ দায়ের বা এখন সংবাদ সম্মেলন করে সিইসির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার ঘটনা অসময়ে ঘটছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ইসির মেয়াদ শেষ। এখন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার অর্থই হলো অসময়ে তাদের কাঠগড়ায় দ্বার করানোর নামান্তর।
এ প্রসঙ্গে সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, সিইসি কে এম নূরুল হুদার এমন আচরণে আশ্চর্যের কিছু নেই। ব্যর্থতা ও সমালোচনা এড়িয়ে যাওয়ার সহজ পন্থা হলো ব্যক্তিগত আক্রমণ। বর্তমানে রাজনৈতিক বয়ানে এটি মুখ্য হয়েছে। তবে সাংবিধানিক পদে থাকা একজন ব্যক্তির কাছে প্রত্যাশিত নয়। যত কিছুই হোক নূরুল হুদা ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু সিইসি প্রতিটি নির্বাচনে পরই বলেছেন, নির্বাচন ভালো হয়েছে। এরকম অসম্ভব বক্তব্যই ছিল সিইসির ৫ বছরের অন্যতম প্রধান কাজ। নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্বাসনে পাঠানোর জন্য আমরা এই কমিশনের বিরুদ্ধে যে অসদাচরণের অভিযোগ করেছিÑ এজন্য আজ হোক কাল হোক, বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছিল ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ওইদিন রাতেই প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার নেতৃত্বে কমিশনের অপর চার সদস্য হচ্ছেনÑ সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব তালুকদার, সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী। মেয়াদের ৫ বছরে তারা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছাড়াও ৬০ হাজারের বেশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘সব স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজন’ করার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের শপথগ্রহণ করেন। কিন্তু নূরুল হুদা কমিশন ৫ বছর ‘সব স্বার্থের ঊর্ধ্বে’ থেকে কয়টি নির্বাচন করেছেন? বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে সিইসিসহ চারজন কমিশনার ৫ বছরই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ‘নাচের পুতুল’ ‘তাঁবেদার’ ‘তোষামোদকারী’ ভূমিকা পালন করেন। একমাত্র মাহবুব তালুকদার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টায় কিছু প্রস্তাবনা করেন। কিন্তু সংখ্যায় মাত্র একজন হওয়ায় তার প্রতিটি পদক্ষেপেই ব্যর্থ হয়।
গত ২৭ জানুয়ারি রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসির (আরএফইডি) এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে সিইসি খবরের শিরোনাম হন। তিনি নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের অসুস্থতা এবং তার চিকিৎসায় ইসির বিপুল অংকের অর্থ খবচের ফিরিস্তি দেন। একই সঙ্গে তিনি সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি সাবেক সিইসি ড. শামসুল হুদার বিরুদ্ধে অযোগ্যতার অভিযোগ তোলেন। হঠাৎ করে সিইসি কে এম নূরুল হুদার এমন বক্তব্যের পর নেট দুনিয়ায় বিতর্কের ঢেউ ওঠে।
প্রথম তার সহকর্মী মাহবুব তালুকদার নিজের অসুস্থতা নিয়ে অবজ্ঞাসূচক মন্তব্য এবং চিকিৎসার জন্য অর্থ খবর নিয়ে সিইসির বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন। তিনি নিজের অসুস্থতা, চিকিৎসা এবং নির্বাচন কমিশন আইনে দায়িত্বপ্রাপ্তদের চিকিৎসার খবর বহনে ইসির আইন তুলে ধরেন। তিনি জানান, কে এম নূরুল হুদাসহ অন্যান্য কমিশনারও বৈধভাবে চিকিৎসার জন্য অর্থ নিয়েছেন। তবে সহকর্মীর অসুস্থতা নিয়ে সিইসি’র অবজ্ঞা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে মানুষ বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ইসি কমিশনার মাহবুব তালুকদার লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানালেও সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সিইসির মুখোশ খুলে দেন এবং তার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। তিনি সিইসি নূরুল হুদাকে আপাদমন্তক মিথ্যাবাদী, প্রতারক, বেহায়া হিসেবে অবিহিত করে দুর্নীতি প্রমাণের চ্যালেঞ্জ করেন।
সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে যেসব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে; প্রতিটি নির্বাচনে প্রশাসনকে ব্যবহার করে দিনের ভোট রাতে করা, প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে একটি মার্কায় সিলমারা, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসতে না দেয়া, প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে একটি মার্কায় ভোট না দিলে ভোট কেন্দ্রে না আসার নির্দেশনাসহ অসংখ্য অভিযোগ করা হয়। অথচ কোনো নির্বাচনে অনিয়ম দেখেনি সিইসিসহ ৪ নির্বাচন কমিশনার। কোনো নির্বাচনের পর অনিয়ম ও ব্যালট ছিনতাইয়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের তথ্য প্রকাশ দেয়ার পর সিইসি কে এম নুরুল হুদা দাবি করেন সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। আর তিন কমিশনার সাবেক সচিব রফিকুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদৎ হোসেন চৌধুরী নাচের পুতুলের মতোই বলতে থাকেনÑ আহা! সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। তবে বিবেকের তাড়নায় জর্জরিত হয়ে মাহবুব তালুকদার আত্মসমালোচনা করেন, ইসিকে কঠোর হওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু নুরুল হুদা কমিশন সরকারের অন্ধভক্তের মতো সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অধীনস্থ ‘অধিদফতর’ ‘পরিদফতর’ পর্যায়ে নিয়ে যান। শপথ নেয়ার পর থেকে সরকারকে খুশি করাই ছিল নূরুল হুদা কমিশনের প্রধান কাজ। কিন্তু যাদের জন্য তিনি এতো কিছু করেছেন, তারা তার পাশে নেই। ২০২১ সালে কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শতাধিত প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় যারা মারা যায়, তারা প্রায় সকলেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ইউপি নির্বাচনে রক্তারক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে সিইসি সাফ জানিয়ে দেনÑ নির্বাচনে রক্তারক্তির দায় ইসি’র নয়। ইসির দায়িত্ব ভোট করা, প্রশাসনের ব্যর্থতাই রক্তারক্তির ঘটনা ঘটেছে। কে এম নুরুল হুদার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের একাধিক সদস্য। তারা বলেন, কে এম নুরুল হুদাকে রক্তারক্তির দায় নিতে হবে। কারণ নির্বাচনের সময় প্রশাসন ইসির অধীনস্থ থাকে।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেছেন, ১০০ লোক মরার পরও নির্বাচন কমিশনের দায় নেই বলতে পারে যে লোক, তার বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। আমরা নূরুল হুদার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব কি-না চিন্তা করছি। নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার তারা যে ক্ষতি করেছে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশে নির্বাচন নিয়ে যারা কাজ করছেন তারা কুসুমাস্তীর্ণ পথে হাঁটছেন না। দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রর পথে ফিরিয়ে আনতে নাগরিক সমাজ, মিডিয়া ও আদালতকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে দেশে কথা বলার লোকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। যে মুষ্ঠিমেয় মানুষ ছিল তারাও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে।
সিইসি নূরুল হুদার বক্তব্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে নূরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে বলা হয়, আজ হোক কাল হোক, বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি বিতর্কিত নির্বাচনের অকট্য কিছু প্রমাণ ও তথ্য প্রকাশ করায় সুজন ও ড. বদিউল আলম মজুমদারের ওপর কে এম নূরুল হুদার ক্ষিপ্ত হয়েছেন। তাছাড়াও গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে নূরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণ ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করার যে আবেদন করেন, তাতে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ সুজনের অনেক নেতৃবৃন্দ ছিলেন স্বাক্ষরকারী। সিইসি হুদার গাত্রদাহ এবং তার অপকর্ম ও পক্ষপাতদুষ্টতার কলঙ্ক আড়াল করতেই তিনি আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন। একারণেও কে এম নূরুল হুদা সুজন ও ড. বদিউল আলম মজুমদারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এখন সিইসি হুদাকেই এসব অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে। একইসঙ্গে জবাব দিতে হবে : তার কাছে এ সম্পর্কে কোনোরূপ তথ্য থাকলে তিনি কেন তা প্রকাশ করলেন না?
সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিচারপতি এম এ মতিন বলেন, সিইসির অভিযোগের ভিত্তি হচ্ছে তার দপ্তরের ৭/৮ জন বদিউল আলম মজুমদারের বিষয়ে তাকে বলেছে। এটা মিথ্যাবাদী বলার জন্য যথেষ্ট যা শুনে তা প্রচার করে বেড়ায়। এত বড় আসনে বসে তিনি এভাবে কথা বলবেন তা চিন্তা করতে পারিনি। তার উচিত ছিল অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। দুদকের কাছে পাঠানো।
ড. বদিউল আলম মজুমদার সিইসি নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার অভিযোগ তুলে বলেন, এরকম একজন খলনায়ককে নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ড. মজুমদার তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণ নতুন কিছু নয় উল্লেখ করে আরও বলেন, এর আগে আমার বাড়িতেও আক্রমণ হয়েছে। ওইদিন দরজা ভাঙতে পারলে কথা বলার সুযোগ পেতাম কিনা নিশ্চিত নয়। এটা নতুন কিছু না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।