মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একটি গ্রামের সকল মহিলা এবং তরুণী খুবই সুন্দরী। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের জীবনসঙ্গীর অভাব কেন? বিয়ে করবেন; কিন্তু পাত্র যে কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছে না। আর সে কারণেই অবিবাহিত থেকে যেতে হচ্ছে তরুণীদের। অবিশ্বাস্য হলেও, এমনই একটি গ্রাম রয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে।
দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি গ্রাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এই গ্রামে মহিলাদেরই সংখ্যাই বেশি। ৬০০ বেশি মহিলা থাকেন গ্রামে। যে কয়েকজন মহিলা বিয়ে করেছেন তারা নিজেদের গ্রাম ছেড়ে কখনও যাননি। ফলে স্বামীকে ছাড়াই থাকতে হয়। সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা গ্রামে আসেন। তাছাড়া ছেলেদের ১৮ বছর বয়স হলেই বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে ক্রমে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
গ্রামের সকল মহিলা এবং তরুণী খুবই সুন্দরী। কিন্তু তা সত্ত্বেও জীবনসঙ্গীর অভাব কেন? জানা গেছে, গ্রামের একটি রীতি রয়েছে, বিয়ের পর কোনও মেয়ে গ্রাম ছেড়ে যাবেন না। স্বামীকেই ওই গ্রামে তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। ফলে এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রামটির তরুণীদের জন্য।
সুন্দরী এবং বিবাহযোগ্যা হলেও মেয়েরা সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে বলে আশপাশের এলাকার কোনও পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না। ফলে বিবাহযোগ্যা হয়েও মেয়েদের অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে শুধুমাত্র ওই কারণেই।
এর পেছনেও একটি কাহিনি রয়েছে। জানা যায়, ১৮৯০ সালে মারিয়া সেনহোরিনা ডি লিমা নামে একটি মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়া হয়। এর পরই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নোইভা ডো কোরডোইরো-তে এলাকায় চলে আসেন। ১৮৯১ সালে তিনি এখানে একটি গ্রাম গড়ে তোলেন। আর তখন থেকেই স্থির হয় এই গ্রামের কোনও মেয়ে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাবে না। স্বামীকেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে। গ্রামের এই অদ্ভুত রীতির কারণেই অবিবাহিত থাকতে হচ্ছে মহিলাদের। সূত্র : ন্যাশনাল পোস্ট, এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।