Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশন আইন করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১০:০০ পিএম

একতরফা নির্বাচন কমিশনের কালো আইন করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য। আজ শনিবার সকাল ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ে পুলিশ বক্সের সামনে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (চউচ) এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন আল রশিদ খান।

সভায় সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ১৯৭২ সালে সংবিধানে বলা আছে ১১৮ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আইন দ্বারা স্বাধীন হবে। আজ শেখ হাসিনার সরকার যে আইন প্রণয়ন করে এই আইন অগণতান্ত্রিক এক দলীয় আইন হিসাবে গড়ে উঠল। আওয়ামী লীগ সরকার দায় মুক্তি অধ্যাদেশ জারির মহা ওস্তাদ। ১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক আহমেদ ১৯৭৩ সালের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের নিয়ে প্রথম দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে। শেখ হাসিনার সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকদের দায় মুক্তি দেয়া হয়। বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ২০১৯ সালে গঠিত নির্বাচন কমিশন দায়মুক্তি দিয়ে আইন প্রণয়ন করে।

সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম বলেন, বর্তমানে সরকার যে আইন করছে এই আইন দিয়ে কোন দিন দেশে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন কে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতা থেকে মুক্তি দিয়ে নতুন করে সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি’র আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই নির্বাচন কমিশন গঠনের কোন আইন হয়নি, এটি আওয়ামী এবং মুজিব কোর্ট পরিহিত একটি কমিটি করা হয়েছে।

সভার সভাপতি গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য’র সমন্বয়ক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি)’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন আল রশীদ খান বলেন, এই আইনের মাধ্যমে যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে সেটি আওয়ামী ষড়যন্ত্রের আতুরঘরে পরিণত হবে। আমরা গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের পক্ষ থেকে অবিলম্বে এ আইন প্রত্যাহার করে নতুন গণতান্ত্রিক আইন প্রণয়নের দাবি জানাই। সভায় সংহতি বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ন্যাপ এর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ