Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুজিব-ধাঁধা কাটছেই না সৌম্যর!

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৮:১১ পিএম

মুজিব-উর রহমান যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছেন সৌম্য সরকারের জন্য। বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে আফগান রহস্য স্পিনারের মুখোমুখি সবশেষ তিন বলেই হলেন আউট। তিনবারই এলবিডব্লু! ২০১৯ সালের জুন ও সেপ্টেম্বরে দুইবার আউট হওয়ার পর সেই বছরের বিপিএলে দুজন খেলেন একই দলে-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। সেখানে হয়তো নেটে কমবেশি মুজিবকে খেলেছে সৌম্য। কিন্তু তাতেও যেন কিছুই পাল্টায়নি। প্রতিপক্ষ হিসেবে আবার দেখায় আউট হলেন প্রথম বলেই।

এবারের বিপিএলে গতকালই প্রথম মাঠে নামেন মুজিব। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তার দল ফরচুন বরিশাল দিনের প্রথম ম্যাচ খেলে প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। এই দলেরই ওপেনার সৌম্য। বিপিএলে বরাবরই বিবর্ণ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ‘গোল্ডেন ডাক’-এর স্বাদ দিলেন মুজিব।

১৪২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের প্রথম চার বলে দুই ওপেনারকে হারায় খুলনা। মুজিবের তৃতীয় বল উড়িয়ে মেরে ফিল্ডারের হাতে ধরা পড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার। প্রান্ত বদলে স্ট্রাইক পান সৌম্য। পরের বলটি একটু স্কিড করে ভেতরে ঢোকে। লেংথ বল সামনে এগিয়ে খেলার বদলে ব্যাকফুটে খেলার চেষ্টায় লাইন মিস করে এলবিডব্লু হন সৌম্য। চট্টগ্রাম পর্ব দিয়েই বিপিএল শুরু করা বাঁহাতি এই ওপেনার আগের ম্যাচ করেছিলেন কেবল ১।

এবারের আগে মুজিবকে সবশেষ কোনো ম্যাচে সৌম্য খেলেন ২০১৯ সালে দেশের মাঠে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সেই ম্যাচে মিডল অর্ডারে খেলে প্রথম বলে আউট হন সৌম্য। সেবারও পা বাড়িয়ে খেলার জায়গায় পিছিয়ে গিয়ে এলবিডব্লু হন তিনি। স্কিড করা বল প্যাডে ছোবল দিলে রিভিউ নেন সৌম্য, তাতে কোনো কাজ হয়নি। ঐ বছরই ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচেও মুজিবকে খেলেন সৌম্য। সেখানেও মিডল অর্ডারে নেমে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। মুজিবের দুই ওভার মিলিয়ে ছয় বল খেলে শেষটায় হন এলবিডব্লু। ফুল লেংথ বল ফ্লিক করার চেষ্টায় ব্যর্থ হলে লেগ স্পিন ডেলিভারিটি ছোবল দেয় প্যাডে। সেবারও রিভিউ নেন সৌম্য, তবে ফিরে যেতে হয় তাকে। তিনবারই একটা ব্যাপার ছিল স্পষ্ট, মুজিবকে হাত থেকে পড়তে পারেননি সৌম্য। বল পিচ করার পরও পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে পাননি কোনো জবাব।

মুজিবকে হাত থেকে পড়ার কাজটি অবশ্য দুনিয়াজুড়ে অনেক ব্যাটসম্যানই পারেননা অনেক সময়। অফ স্পিন, লেগ স্পিন, ক্যারম বল, স্লাইডার, গুগলি মিলিয়ে নানা স্কিলের ফাঁদ পেতে শিকার ধরেন মুজিব। একেবারেই অসম্ভব বা খেলার উপায় নেই, তা অবশ্যই নয়। মার খাওয়ার ঘটনাও তো তার কম নেই। এই ম্যাচেই সৌম্যর সতীর্থ থিসারা পেরেরা ঠিকই মুজিবের শেষ ওভারে মারেন চার-ছক্কা। সৌম্য সেখানে যেন প্রায় অন্ধকারে।

এবারের বিপিএলে দুই দলের আরও ম্যাচ আছে। আরও চ্যালেঞ্জ হয়তো সৌম্যর অপেক্ষায় সামনে। বিপিএলের পরপরই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে আফগানদের বোলিং আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুজিব। সৌম্য যদি দলে সুযোগ পান, সফল হতে হলে হয়তো তাকে সমাধান করতে হবে মুজিব-ধাঁধার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ