বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পরে বিদ্রোহী প্রার্থী এইচ এম হানিফের কর্মী সমর্থকরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরীর বসত ঘর ও নির্বাচনী অফিসে ভাংচুর চালিয়েছে। এসময় তারা সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে থাকা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় আমিলাইষ ইউনিয়নের পূর্ব আমিলাইষ চর পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব আমিলাইষ চরপাড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্বাচনী পথসভা চলছিল। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান এইচ এম হানিফ মিছিল সহকারে ওই এলাকায় প্রচারনার জন্য যায়। তখন উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে দুই প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়। আহতরা হলো, নুর হোসেন (৪০),ইসমাঈল (৩৫), নিশাত(৮), আবুল বশর(৭০), মো. হোসেন (৬১), হাবিবুর রহমান (৪৫), গিয়াস উদ্দিন (৪০), হেলাল উদ্দিন (৩০), মোহাম্মদ ইয়াছিন ( ২২),মোহাম্মদ হাসান (৬২) নুরুল আবছার(৩৫), নাছির উদ্দিন(২৫), মারুফ(২৪), ফারুক(২০) ও নাজিম উদ্দিন( ৪৮)। আহতদের সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হানিফ জানান, আমি গনসংযোগ করার জন্য মিছিল সহকারে চরপাড়ায় যায়। আমরা সেখানে পৌছামাত্র আওয়ামীলীগ প্রার্থী সারওয়ার ও তার কর্মী সমর্থকরা অতর্কিত ভাবে আমাদের উপর হামরা চালায়। এতে আমার তিন কর্মী আহত হয়েছে। এদিকে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, চরপাড়া এলাকায় পথসভা করছিলাম। এসময় আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী হানিফের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের দল আমাদের পথসভায় হামলা চালায়। লাঠি সোটা নিয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। সেখানে স্থাণীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে সেখান থেকে সরে এসে আমার বসত ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এমনকি সেখানে টাঙানো জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে। সেখান থেকে যাওয়ার সময় আমার নির্বাচনী অফিসটিও ভেঙ্গে তচনছ করে। তাদের হামলায় আমার ১৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এবিষয়ে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠনো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।