Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেন সঙ্কটের মাঝে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

জার্মান চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবার পর ওলাফ শলৎস আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন সফর করছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তিনি ইউক্রেনসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করবেন। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার বিশাল সামরিক প্রস্তুতির মুখে যুদ্ধের আশঙ্কা এখনো দূর হচ্ছে না। জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা সত্ত্বেও সংঘাত এড়ানো সম্ভব হবে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। সামরিক জোট ন্যাটো-সহ পশ্চিমা বিশ্ব একযোগে রাশিয়ার প্রতি কড়া বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু রাশিয়ার প্রতি জার্মানির ‘নরমপন্থি’ মনোভাব নিয়ে অ্যামেরিকাসহ অনেক দেশে বিস্ময় ও বিরক্তি বাড়ছে। ইউক্রেনের দুর্দিনে অস্ত্রের বদলে শুধু হেলমেট সরবরাহের বিষয়টি সংবাদপত্রের শিরোনামে উঠে এসেছে। বিংশ শতাব্দীতে নিজস্ব ইতিহাসের কারণে জার্মানি প্রতিরক্ষা ও অস্ত্র সরবরাহের প্রশ্নে ন্যাটোর অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি সতর্ক। বিশেষ করে সংঘাতের আশঙ্কার মাঝে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে সেই সংশয় আরো বেড়ে যায়।
রাশিয়া থেকে সরাসরি গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ পাইপলাইন চালু করার বিষয়েও জার্মানি অ্যামেরিকা ও ইউরোপে চাপের মুখে রয়েছে। বাইডেন প্রশাসন এই পাইপলাইনের ঘোর বিরোধী। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে সে বিষয়ে আরও কড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে কোনোমতে সেই পাইপলাইন চালু হবে না বলে অ্যামেরিকা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েনও ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা ঘটলে এই প্রকল্প অবসানের হুমকি দিয়েছেন। জার্মান সরকারের মধ্যেও ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় বাড়ছে। তবে সরকারের শরিক সবুজ দল প্রকল্পের বিরোধিতা করলেও শলৎসের এসপিডি দল এখনো হাল ছাড়তে প্রস্তুত নয়। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ হয়ে যাবার পর এত বড় কর্মযজ্ঞ পুরোপুরি বর্জন করা অর্থনৈতিক মাপকাঠিতে সঙ্গত হবে না বলে দলের একাংশ মনে করে। শলৎসের পূর্বসূরি আঙ্গেলা ম্যার্কেলও ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ প্রকল্পকে পুরোপুরি বাণিজ্যিক উদ্যোগ হিসেবে তুলে ধরে সেটিকে অরাজনৈতিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
এমনই প্রেক্ষাপটে ওয়াশিংটনে জার্মানির অবস্থান খোলসা করতে যাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস। অবশ্য ৭ ফেব্রুয়ারির আগেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সংঘাত ঘটলে গোটা পরিস্থিতি বদলে যাবে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির দীর্ঘ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উল্লেখ করা হয়েছে। ইউক্রেন ছাড়াও করোনা সঙ্কট ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আরও সহযোগিতার প্রত্যাশা করছে ওয়াশিংটন। সূত্র : ডিপিএ. রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ