বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : গোপন কারখানায় বসে বোমা তৈরি করার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আহত হয়েছে ১০ জন পেশাদার বোমাবাজ সন্ত্রাসী। গত রোববার সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলের আলোকবালী উত্তরপাড়া গ্রামে উমর কাজীর বাড়িতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আহতদের মধ্যে জুয়েল (৩৮), উজ্জল (৩০), রাহিম (২৮), তবু মিয়া (৩৫), নাইম (২৮), কাউছার (৩৫), জলিল (২৩), বেদন (২৫) ও সুমন (২২)-কে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় জুয়েল, নাইম ও তবু মিয়াকে রাত ১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, আলোকবালী ইউনিয়নের আলোকবালী উত্তরপাড়া গ্রামের সাহেব আলীর পুত্র জুয়েল, উজ্জল, আব্দুর রহমানের পুত্র নাইম, মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র তবু মিয়া, আব্দুল গফুরের পুত্র কাউছার, জলিল, বেগদন, সুমন ইত্যাদিসহ ২০/২৫ জনের একটি বোমা প্রস্তুতকারী সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। এরা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় বোমা তৈরি করে রায়পুরার নিলক্ষার বিভিন্ন গ্রামসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন লাঠিয়াল বাহিনীর কাছে বিক্রি করে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে তারা তৈরি করা বোমা, ককটেল ও ক্র্যাকার ইত্যাদি বিস্ফোরক তৈরি করে প্রকার ভেদে ১ থেকে ৩ হাজার টাকা করে বিক্রি করে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকা থেকে নৌকাযোগে এসে বিভিন্ন লোকজন তাদের কাছ থেকে এসব বিস্ফোরক কিনে নেয়। তারা এলাকার একটি প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণে থাকায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলতে সাহস পায় না। তারা বছরের পর বছর ধরে অবাধে এলাকায় বোমা বেচা কেনার ব্যবসা করছে।
গত রোববার সন্ধ্যার পর তারা আলোকবালী উত্তরপাড়া গ্রামের বড়বাড়ী খ্যাত উমর কাজীর বাড়িতে বসে বোমা তৈরি করতে থাকে। একে একে বেশ কয়েকটি বোমা তৈরি করে তারা জমাতে থাকলে হঠাৎ একটি বোমা বিকট আওয়াজে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে থাকা ১০ জন বোমাবাজ সন্ত্রাসী আহত হয়। এই ঘটনা জানাজানি হবার পর আহত বোমাবাজদের আত্মীয়রা ঘটনাস্থলটি ঘিরে রাখে। সেখানে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়নি। সময় নিয়ে তারা বোমা তৈরির সকল সরঞ্জাম ও আলামত ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা ৮ জন বোমাবাজ সন্ত্রাসীকে নৌকায় করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ২ জন পুলিশী ঝামেলা এড়াবার জন্যে পার্শ্ববর্তী নবীনগর হাসপাতালে চলে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে আহতদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এ সময় খবর পেয়ে নরসিংদী থানা পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে। সেখানে গিয়ে পুলিশ তাদের আটক করে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর গুরুতর আহত জুয়েল, নাইম ও তবু মিয়াকে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বাকিদের পুলিশ প্রহরায় নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে নরসিংদী সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।