বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ত্রিশ বছর বয়সী যুবক শাকিল আজাদ। কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার বাসিন্দা। নিজেকে প্রবাসী পরিচয় দিয়ে কুমিল্লাসহ সাত জেলায় সাতটি বিয়ে করে। শ্বশুরবাড়ি এলাকার লোকজনকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে দিয়ে লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া এ যুবককে গ্রেফার করেছে কুমিল্লা র্যাবের একটি টিম।
গত মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর গতকাল বুধবার কুমিল্লা নগরীর শাকতলায় র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকা থেকে শাকিল আজাদ নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
মেজর সাকিব জানান, প্রতারণার মাধ্যম হিসেবে বিয়েকে বেছে নেয় ওই যুবক। যেখানে বিয়ে করেন ওইখানে নিজেকে পরিচয় দেন কাতার প্রবাসী। ওইসব এলাকার বেকার যুবকদের কাতারে নেয়ার কথা বলে হাতিয়ে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। গ্রেফতার শাকিল আজাদ প্রতারণার মাধ্যমে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, নীলফামারী ও ফরিদপুরে বিয়ে করেন। শাকিল আজাদ প্রথমে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রথমে ওই এলাকার গরীব পরিবার খোঁজেন। তারপর সেই পরিবারে যদি বিয়ে উপযুক্ত কোনো মেয়ে থাকে তাহলে ওই পরিবারকে অসহায়ত্বের ফাঁদে ফেলে তাদের মেয়েকে বিয়ে করেন। পরে ওই এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদরাসায় দান খয়রাত করেন। নিজেকে পরিচয় দেন কাতার প্রবাসী।
মেজর সাকিব আরও বলেন, প্রতারক শাকিল আজদ ২০১৮ সালে একই কায়দায় চতুর্থ বিয়ে করে খুলনায়। বিয়ের পর বিদেশ পাঠানোর নামে ওই এলাকার বেশ কিছু যুবক থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয় শাকিল। পরে প্রতারিত যুবকদের রোষানলে পড়ে অসহায় ওই পরিবারটি এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। গত ১৫ দিন আগে শাকিল আজাদের চতুর্থ স্ত্রী কুমিল্লা র্যাব অফিসে বিস্তারিত লিখে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ শাকিল আজাদের পাসপোর্ট বাতিল করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে গতকাল বুধবার দুপুরে বরুড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।