Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্রোহে জেরবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

পশ্চিমবঙ্গে ভোটে হারের পরই রাজ্য বিজেপিতে শুরু হয়েছে বিদ্রোহ। যত দিন যাচ্ছে, ততই বিদ্রোহ তীব্র হচ্ছে। দলের অন্দরের বিদ্রোহে, অসন্তোষে জেরবার পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর যে অসন্তোষের শুরু, তা এখন প্রবল আকার নিয়েছে। বিধানসভার পর বেশ কিছু নেতা তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। তার মধ্যে নির্বাচিত বিধায়করা যেমন আছেন, তেমনই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জিততে না পারা নেতাও আছেন। কিন্তু এখন বিদ্রোহের চরিত্র বদলেছে। দলের বিধায়ক ও নেতারা একজোট হয়ে বিদ্রোহ করছেন বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, এই বিদ্রোহী বিধায়কদের অন্যতম নেতা হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মতুয়া নেতা ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠা কোর। শান্তনু ঠা কোর মতুয়া নেতা। মতুয়ারা বাংলাদেশ থেকে আসা দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সমস্যা আছে। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েও সমস্যা সমাধান করেনি বা করতে পারেনি। শান্তনু ঠা কোর একা নন, তার সঙ্গে আছেন প্রায় জনা দশেক বিধায়ক এবং প্রচুর নেতা। বাঁকুড়া জেলার অধিকাংশ বিজেপি বিধায়ক বিদ্রোহীদের দলে নাম লিখিয়েছেন। সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারির মতো নেতারাও শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে আছেন। তাছাড়া সুব্রত ঠা কোর, অশোক কীর্তনীয়া, আশিস বিশ্বাসের মতো বিধায়করাও তার সঙ্গে আছেন। সম্প্রতি এই নেতাদের সঙ্গে পিকনিক করে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন শান্তনু ঠা কোর। তিনি জানিয়েছেন, কৌশল ঠিক করার জন্য বৈঠক হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তাদের কোনো অভিযোগ নেই। তারা প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্ত করতে চাইছেন। এই বিদ্রোহী নেতাদের সমর্থন করছেন সাবেক বিজেপি সভাপতি ও ত্রিপুরার সাবেক রাজ্যপাল তথাগত রায়। কয়েকদিন আগেই কলকাতা শহর ভরে গিয়েছিল একটা পোস্টারে। সেখানে লেখা ছিল, অমিতাভ চক্রবর্তীকে সরাতে হবে। বিক্ষুব্ধ নেতা রীতেশ তিওয়ারিও কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালবীয় এবং রাজ্য বিজেপি-র সাংগঠনিক সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর কড়া সমালোচনা করেছেন। তার প্রশ্ন, অমিতাভ বা অমিত মালবীয় ডাকলে কটা মানুষ সমবেত হবেন? তার অভিযোগ, এই নেতারা রাজ্য বিজেপি-কে ধ্বংস করছেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার জায়গায় তারা বিজেপি নেতাদের সঙ্গে লড়াই করছেন। এর জবাব রাজ্যের কর্মীরা দেবেন। তথাগত রায় টিভি৯-কে বলেছেন, রীতেশ ২০-২৫ বছর ধরে বিজেপি-তে কাজ করছে। সে আদর্শের টানে দল করে। সূত্র জানাচ্ছে, যেভাবে সুকান্ত মজুমদার জেলা কমিটিগুলি গঠন করেছেন, তার বিরুদ্ধাচরণ করছেন বিদ্রোহী নেতারা। তাতে বিজেপি-র একগুচ্ছ নেতাকে বাদ দেয়া হয়েছে। সেই সব নেতারা বিক্ষোভে ফুঁসছেন। পিটিআই,এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ