Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লেবাননের অর্থনৈতিক মন্দা অভিজাত সৃষ্ট : বিশ্বব্যাংক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

লেবাননের অর্থনৈতিক মন্দা অভিজাতদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতি দেশটির দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক শান্তির জন্য হুমকি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে লেবাননের অর্থনীতিতে ধ্বংসের সূচনা হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিপুল পরিমাণ ব্যয়ের কারণে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে বিবাদ পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে। এ পরিস্থিতি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত বিদেশী ঋণদাতারাও দেশটিকে ঋণমুক্তি দিতে নারাজ। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী ও উদারপন্থী দেশ হিসেবে পরিচিত ছিল লেবানন। তবে ১৫ বছর ধরে চলা এ গৃহযুদ্ধকে ১৯ শতকের মাঝামাঝি থেকে সবচেয়ে গুরুতর হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্বব্যাংক। এটিই দেশটির অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক লেবানন ইকোনমিক মনিটর ফল ২০২১ শীর্ষক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লেবাননের সুচিন্তিত মন্দা দেশটির অভিজাতদের হাতে তৈরি হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে দেশটিকে দখল করে রেখেছে এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। সংকটের তীব্রতা সত্ত্বেও তাদের এ দখলদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে। বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ১৮৫০-এর দশক থেকে বিশ্বজুড়ে শীর্ষ তিনটি গুরুতর অর্থনৈতিক পতনের একটি লেবাননের সংকট। এটি দেশটির দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক শান্তিকে হুমকির মুখে ফেলেছে। ২০২১ সালে লেবানন সরকারের রাজস্ব প্রায় অর্ধেক কমে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সোমালিয়া ও ইয়েমেনের পর বিশ্বজুড়ে এটি তৃতীয় সর্বনিম্ন অনুপাত। দেশটির প্রকৃত জিডিপি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে বলে অনুমান করা হয়েছে। গত বছর দেশটির মোট ঋণ জিডিপির ১৮৩ শতাংশে পৌঁছেছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ