মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পয়লা নভেম্বর বিশ্বে মাত্র ৯০ জন খেলেছিলেন। দু’মাস পরে, জানুয়ারির গোড়াতেই সংখ্যাটা তিন লাখ পেরিয়ে যায়। প্রতিদিনই তা বাড়ছে। ভালবেসেই এখন ‘ওয়ার্ডল’ খেলতে গিয়ে শব্দের খোঁজ করছেন বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ। কেউ হচ্ছেন শব্দে জব্দ, কেউ সাফল্যের কথা সগর্বে ঘোষণা করছেন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে শব্দটি গোপন রেখেই।
টুইটার-ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামে ক’দিন ধরেই দেখা মিলছে সবুজ, হলুদ বা ছাইরঙা বাক্সের। অনেকটা লুডোর ছক্কার মতো। তার পিছনে রয়েছে এই শব্দ খোঁজার খেলা, ‘ওয়ার্ডল’। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি থাকাকালীন সময় কাটাতে নিজের সঙ্গিনী পলক শাহের জন্য এই খেলা তৈরি করেছিলেন নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনের বাসিন্দা, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জশ ওয়ার্ডলে।
পলক খবরের কাগজে শব্দছক করতে খুব ভালবাসেন। জশ নিজের নামের সঙ্গে কিছুটা মিলিয়ে আর শব্দের খেলা বলে নাম রাখেন ওয়ার্ডল। প্রথম ক’মাস জশ ও পলক খেলার পরে তারা প্রথমে বাড়ির অন্য সদস্য ও পরে আত্মীয়দের সঙ্গে তা শেয়ার করেন। সেখানেও তা জনপ্রিয় হওয়ায় অক্টোবরে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিশ্বের সবার জন্য খেলাটি খুলে দেন জশ।
খেলায় পাঁচ অক্ষরের একটি ইংরেজি শব্দ খুঁজে পেতে হবে, যেটি ‘ওয়ার্ডল’ থেকে প্রতিদিন ঠিক করা থাকবে। যদি খেলোয়াড়ের আন্দাজ করা শব্দের কোনও অক্ষর আর ওয়ার্ডল-এর দেওয়া শব্দের অক্ষর একই জায়গায় থাকে তাহলে পাঁচটি ঘরের সেই ঘরটি সবুজ হয়ে যাবে। অক্ষর মিললেও ঘর না মিললে অক্ষরটি হলুদ হবে। আর অক্ষরটিও না মিললে গাঢ় ছাইরঙা হয়ে যাবে ঘরটি। এই ভাবে পাঁচটি ঘরেই সবুজ বাতি জ্বালানোর লক্ষ্যে চলবে খেলা। তবে সুযোগ মাত্র ছ’বার।
কে কত বারে শব্দ চিনতে পারছেন, সেই স্কোরকার্ডও সকলে শেয়ার করছেন সমাজমাধ্যমে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্তও অবশ্য জশ তার সাইটে এই ব্যবস্থা রাখেননি। তিনি বলছেন, ‘দেখছিলাম, অনেকে লিখে লিখে তা টুইটারে জানাচ্ছেন। তখন শেয়ারের ব্যবস্থা করি। আর রঙের মাধ্যমে সাফল্যের কথা জানালে শব্দ জানাজানি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।’ সঙ্গিনীর জন্য বানানো উপহারে যে গোটা বিশ্ব মেতে উঠবে তা দেখে খুবই খুশি জশ। তার কথায়, ‘এর জন্য কাউকে ব্যক্তিগত তথ্যও দিতে হয় না, প্রচুর সময়ও দিতে হয় না। শুধু একটা মজার খেলা।’ রাত ১২টায় নতুন তারিখ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নতুন শব্দ যোগ হয় খোঁজার জন্য। দিনে একটিই শব্দ। সারাদিনে একটি শব্দের জন্যই সকলে অপেক্ষা করে থাকেন এবং এর চাহিদাও বেড়েছে বলে মনে করেন জশ। তার মতে, ‘এর জন্য দিনে কয়েক মিনিট যথেষ্ট।’
যার জন্য জশ এই খেলা তৈরি করেছিলেন, সেই পলকও সাহায্য করেছেন ওয়ার্ডল-কে এখনকার রূপ দিতে। তারা জানান, ইংরেজিতে পাঁচ অক্ষরের প্রায় ১২০০০ শব্দ রয়েছে। পলক তার মধ্যে বেছে আড়াই হাজার শব্দের একটি তালিকা করেছেন। দিনে একটি করে হলে এই খেলার আরও কয়েক বছরের রসদ রয়েছে তাদের কাছে। পলকের কথায়, ‘আমার কাছে ব্যাপারটা খুব মিষ্টি। জশ যে আমাকে কত ভালবাসে, তা এমন খেলা বানিয়েই ও দেখিয়েছে।’ সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।