মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আধুনিক যুগের নিউক্লিয়ার পরিবার। মা-বাবা দুজনেই ব্যস্ত। সন্তানকে দেওয়ার মতো 'কোয়ালিটি টাইম' কারও কাছেই নেই। অগত্যা ছেলে ভোলাতে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মোবাইল ফোন। আর তাতেই ঘটছে বিপত্তি। সন্তানের হাতে মোবাইল দিয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা গচ্চা গেল প্রবাসী ভারতীয় দম্পতির।
সম্প্রতি নিউ জার্সির বাসিন্দা প্রমোদ এবং মধু কুমারের বাড়িতে আচমকাই ডেলিভারি হতে শুরু করে একের পর এক আসবাবপত্র। একটি ফুলদানি, আরামকেদারা সহ একাধিক আসবাব চলে আসে বাড়িতে। প্রথমে অবাক হয়ে যান তারা। অর্ডার না করা সত্ত্বেও কী ভাবে ওয়ালমার্ট থেকে আসবাবপত্র তাদের বাড়িতে ডেলিভারি হচ্ছে? কে সেগুলি অর্ডার করল? তখনই তাদের সন্দেহ যায় তাদের ছেলে অংশের দিকে। ২২ মাসের অংশ তখন ড্যাপ ড্যাপ করে চেয়ে আছে বাবা-মায়ের দিকে। বুঝতে আর একটুও অসুবিধা হয় না মধু কুমারের। তারই ফোন নিয়ে ওয়ালমার্ট থেকে একের পর এক ফার্নিচার অর্ডার করে গিয়েছে দুষ্টু শিশুটি।
এখনও ঠিকমতো কথা ফোটেনি মুখে অথচ ২২ মাসের অংশ বেশ টেক স্যাভি। মা-বাবাকে প্রায়ই অনলাইনে শপিং করতে দেখে সে। যখনই বাবা-মা ব্যস্ত হয়ে যায়, অংশের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় স্মার্ট ফোন। ব্যস, এটা সেটা ঘাঁটতে ঘাঁটতে নিজেও স্মার্ট হয়ে উঠেছে দুই বছরের এই শিশু। ক্যালেন্ডার অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া, শেষ পাঠানো নম্বরে ইমেল করে দেওয়া কিংবা ফোনবুক ঘেঁটে নম্বর বের করে ফেলা অংশের কাছে এখন ডালভাত। এর মধ্যেই কোনও এক ফাঁকে মায়ের ফোন থেকে দেদার ফার্নিচার অর্ডার করে ফেলেছে সে।
অত্যধিক মোবাইল ফোনের ব্যবহার কী ভাবে বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা ভালোই টের পাচ্ছেন এই প্রবাসী ভারতীয় দম্পতি। এবার থেকে মোবাইলে পাসওয়ার্ড লক কিংবা ফেস রিকগনিশন সিস্টেম চালু করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। যদিও যে শিশু মাত্র ২২ মাসেই অনলাইন শপিংয়ে পারদর্শী হয়ে ওঠে, তার বদভ্যাস দ্রুত বদলানো যাবে বলেও মনে করছেন না তারা। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।