প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ। গত ১৫ দিনে দুইবার কভিড পরীক্ষা করানো হয়েছে তার। প্রথমবার নেগেটিভ ফল এলেও দ্বিতীয়বার পজিটিভ ফল আসে অভিনেত্রীর। টাঙ্গাইল থেকে সর্দি-কাশি নিয়ে ফেরার পর পরিবারের সবার কভিড পরীক্ষা করা হয়, তাতে শাবনাজের কোভিড নেগেটিভ ছিল বলে জানান অভিনেত্রীর স্বামী নাঈম।
প্রথমে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন শাবনাজ। বাসায় তার চিকিৎসা ঠিকমতো হচ্ছে না বিধায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর চেষ্টা করা হয় তাকে। কারণ নাঈমও পুরোপুরি সুস্থ নন। পরে তাদের নির্ধারিত হাসপাতালে খোঁজ নিলে সেখানে ভর্তি করানো সম্ভব না বললে বিপাকে পড়েন নাঈম। অবশেষ মঙ্গলবার জানালেন, শাবনাজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থাও স্বাভাবিক আছে।
নাঈম বলেন, ‘আমি ও শাবনাজ দুজনই এভারকেয়ারে চিকিৎসা নিই। গতকাল সকালেও হাসপাতালে কোনো সিট পাইনি। অবশেষে সন্ধ্যায় তাকে ভর্তি করাতে পেরেছি। তবে শাবনাজের শারীরিক অবস্থা ভালো। অক্সিজেন লেভেলও স্বাভাবিক। চিকিৎসক আবিদুর রহমান ও আয়াজের তত্ত্বাবধানে চলছে তার চিকিৎসা। আশা করছি, শিগগিরই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে আসবে শাবনাজ। ’
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই নাঈমের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়, এখনো পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি। শাবনাজের যথাযথ পরিচর্যা নিতে পারবেন না এই ভেবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন।
নব্বই দশকের ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটি নাঈম ও শাবনাজ। খুব বেশি দিন অভিনয় না করলেও দর্শকদের হৃদয়ে ভালোবাসাময় একটি জায়গা দখল করেছেন এই তারকাজুটি। একসঙ্গে কাজের সুবাদে নায়ক নাঈম ও নায়িকা শাবনাজের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্ককে তারা পূর্নতা দেন। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর বিয়ে করেন দু’জন। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেছে এ দম্পতির ২৭ বছর।
বিয়ের পর সিনেমা থেকে দূরে সরে যান নাঈম ও শাবনাজ। সংসার জীবনেই মনোযোগী হন এ জুটি। তাদের নামিরা ও মাহাদিয়া নামের দুটি সন্তান রয়েছে। যারা কানাডায় পড়াশোনা করেন। অন্যদিকে নাঈম-শাবনাজ বসবাস করছেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার পাথরাইলে গ্রামের বাড়িতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।