বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোরের ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে ৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দিয়েছে ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটি। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রস্তাবিত প্রায় ৪৫ কোটি টাকার ‘ভবদহ ও তৎসংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ’ অবিবেচনাপ্রসূত সেচ প্রকল্প বাতিল করতে হবে। ক্রাস প্রোগ্রামে মাঘী পূর্ণিমার আগেই বিল কপালিয়া টিআরএম চালু করতে হবে।
ভবদহ স্লুইচ গেটের ভাটিতে পাইলট চ্যানেল করার জন্য ৫ থেকে ৬টি স্কেভেটর লাগাতে হবে এবং ২১, ৯ ও ৮ ভেন্টের গেটসমূহ উঠানামার ব্যবস্থা করতে হবে। জনপদের ফসল, বাড়িঘরসহ অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, কৃষি ঋণ মওকুফ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমডাঙ্গা খাল সংস্কার কাজে প্রি-ওয়ার্ক ও পোস্ট ওয়ার্ক জনসমক্ষে টাঙিয়ে দিতে হবে। কাজের স্বচ্ছতা নিরূপণে সেনাবাহিনী, আন্দোলনকারী সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তদারকি কমিটি গঠন করতে হবে। সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান, নদী হত্যা, জনপদের অবর্নীয় দুঃখ-দুর্দশা, ফসল, বসতবাড়ি ও যানমালের ক্ষয়ক্ষতির সাথে জড়িত পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালি স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, দাবি বাস্তবায়নে পুনর্বার জোর দাবি জানাচ্ছি এবং আবারও আপনার জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করছি। তা না হলে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদের মানুষের রাস্তায় উঠে প্রতিবাদ করা ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না।আমরা অত্যন্ত দুঃখ ও ক্ষোভের সাথে জানাচ্ছি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, লুটেরা ও দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহলের যোগসাজসে ভবদহবাসীকে ডুবিয়ে মারার একের পর এক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা বারবার এবং সর্বশেষ গত ২ জানুয়ারি স্মারকলিপির মাধ্যমে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। কোনো ব্যবস্থা গৃহিত না হওয়ায় আমরা নিরূপায় হয়ে গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করে আপনার হস্তক্ষেপের জন্য আহ্বান জানাই এবং ঢাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি বিধি নিষেধ মান্যতা করে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
এমতাবস্থায় আবারো আপনার স্বহৃদয় হস্তক্ষেপ কামনার জন্য স্মারকলিপি প্রদান করছি। দুঃখজনক হলেও সত্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বহীনতা, সরকারকে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ওই জনপদকে মহাবিপর্যয়ের মধ্যে ফেলেছে। বছরের পর বছর এই দুর্ভোগ চলছে। এবারও ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হবে না। শীতের ভয়ঙ্কর প্রকোপে পানির মধ্যে মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।