পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) নিয়োগ বিল-২০২২ কে ইনডেমনিটি বলে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, নিশ্চয়ই সব ব্যাপারে একমত হওয়া যায় না। একমত হয়ও না। খুব তড়িঘড়ি করে আইনটি হয়েছে। এক দিনের বৈঠকে আইনটিতে পৌঁছে গেছি। আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার দরকার ছিল, কিন্তু সেটা করা হয়নি। তিনি বলেন, সার্চ কমিটিতে যে নামগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন, সেই নামগুলোর ব্যাপারে সুস্পষ্ট তথ্য দিতে হবে এটা আমি বলেছি। জাতিকে জানতে হবে সার্চ কমিটি কোন নাম প্রস্তাব করা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে। এসব প্রশ্নের ব্যাপারে আশানুরূপ উত্তর পাইনি।
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, তাছাড়া সার্চ কমিটিতে যে নামগুলো আছে। তাদের সৎ, যোগ্য, সাহসী বা নির্বাচন কমিশনার হওয়ার মতো যোগ্যতা রাখেন কি না সেটা জানার অধিকার আছে মানুষের। সুতরাং তাদের ব্যাপারে গণশুনানির কথা বলেছি। আমি বলেছি যোগ্যতায় সম্পদের হলফনামা দিতে হবে। আমি আশানুরূপ কোনো উত্তর পাইনি। যে দফায় সার্চ কমিটি আছে সেই ধারার বিরোধিতা করেছি। সার্চ কমিটি যারা আসবেন তাদের তালিকা যেন দেওয়া হয় তাদের যোগ্যতা অযোগ্যতা যেন প্রকাশ করা হয়, সেটা বলেছি।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বিলের দফা (৮) এ বলা আছে, মন্ত্রিপরিষদ সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে। এখানে আমি বিরোধিতা করেছি। কারণ আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি আব্দুল মতিন তিনি খুব পরিষ্কারভাবে বলেছেন, যে আমি (আব্দুল মতিন) দুদকের সার্চ কমিটিতে ছিলাম। সেখানে দেখেছি তারা সার্চ কমিটিতে যাদের চাচ্ছেন তাদের সিভি জমা দেয়। এখানে আসলে সার্চ কমিটির তেমন কিছু করার থাকে না। তারা শুধু সিভিগুলো দেখেই সেই নাম প্রস্তাব করতে বাধ্য হন। সেখানে কোন স্বাধীনতা থাকে না। তাছাড়া আমি দফা (৭) এর বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছি এবং দফা (৯) এর ব্যাপারেও আপত্তি জানিয়েছি।
রুমিন ফারহানা বলেন, একটা কথা এসেছে আওয়ামী লীগ ইনডেমনিটি দেয় না। কিন্তু আওয়ামী লীগই ইনডেমনিটি দেয়। কারণ, খন্দকার মোস্তাক আহমেদ আওয়ামী লীগেরই সদস্য ছিলেন, তিনিই ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কুইক রেন্টালের ক্ষেত্রে ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে, আজকে এই আইনের ক্ষেত্রেও ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছে। যদিও লিগ্যাল কভারেজ বলে এটাকে ভিন্নভাবে সৌন্দর্যবর্ধিত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এটা একেবারেই ইনডেমনিটি। আগের দুই কমিশন কী কাজ করেছে, তাদের কীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। এটা যদি ইনডেমনিটি না হয়, ইনডেমনিটির সংজ্ঞা জানতে চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।