পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কথা দিয়ে যদি করোনাভাইরাস মোকাবেলা করা যেতো তাহলে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতো বলে মন্তব্য করেছেন সংরক্ষিত আসনে বিএনপির এমপি ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, করোনা মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশ ২ মাসের বেশি সময় পেয়েছে। তখন বলা হয়েছে করোনা মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি আছে, আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা জয় করতে পারছি, করোনা সাধারণ ফ্লুর মতো, করোনা মোকাবেলায় আমেরিকা-ইতালির চেয়ে সফল বাংলাদেশ, বিমানবন্দরের মতো ব্যবস্থা উন্নত দেশেও নেই, চীনের মতো হাসপাতাল বানানো হবে। জনগণের প্রতি ন্যূনতম জবাবদিহিতা থাকলে এসব বড় বড় মিথ্যা বাগাড়ম্বর না দিয়ে কাজের কাজ করতো। কিন্তু তা করেনি। কথা দিয়ে যদি করোনা মোকাবেলা আমি নিশ্চিত বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতো।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) করোনা সংক্রামণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপির দলীয় এমপিদের বাজেট পর্যালোচনা নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা মোকাবেলায় দেশে নেই নেই আর নেই মন্তব্য করে রুমিন ফারহানা বলেন, দুই মাসেরও বেশি সময় পর যখন বাংলাদেশে করোনা এলো তখন, দেশে থার্মাল স্ক্যানার নেই, বিমানবন্দরে পরীক্ষা নেই, আইসোলেশন ব্যবস্থা নেই, পরীক্ষার কীট নেই, পিপিই, অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ, মাস্ক নেই, হাসপাতাল, যন্ত্রপাতি, এম্বুলেন্স নেই। নেই নেই এবং কিচ্ছু নেই।
ব্যরিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, সংসদে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেশন হচ্ছে বাজেট সেশন। কিন্তু এই বাজেট সেশন শুরুর সময় সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে আমরা বলতে শুনেছি অদৃশ্য ভাইরাসের ভয়েতো আর সবকিছু বন্ধ করে রাখা যাবে না। অদৃশ্য ভাইরাসকে আপনি ভয় নাই পাবেন, কারণ আপনাকেতো আর চিকিৎসার জন্য একটার পর একটা হাসপাতালে দৌঁড়াতে হবে না। যখন আপনি জানবেন বিশ্বের সর্বোচ্চ হাসপাতালে আপনার চিকিৎসার জন্য চার্টার্ড প্লেন রেডি করা আছে, তাহলেতো আপনি এই অদৃশ্য ভাইরাস নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেনই।
তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি এই বাজেট সেশনটি ভার্চুয়ালি করার জন। কিন্তু দুর্ভাগ্য সেটি হয়নি। কিন্তু এর ফল যেটা হলো সম্পূরক বাজেট ঘোষণার একদিন পরেই সংসদ মুলতবি হয়ে গেছে। শুধু ২৩ জুন বাজেটের উপর আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বাজেটের মতো জরুরি সেশন কেবল একদিনে আলোচনা করে বাজেট পাশ হওয়ার নজির বাংলাদেশের ইতিহাসে নেই। আমার বিশ্বাস করোনার মতো একটা সংকটের মধ্যে যে বাজেট দিয়েছে, সমালোচনা হবে সেটা সরকার আগ থেকেই আচ করতে পেরেছিল। সরকার চাইলেই একমাসব্যাপি ভার্চুয়ালি এই অধিবেশন চালাতে পারতো। যাতে করে এমপিরা মন খুলে তাদের মতামত দিতে পারতো। মূলত সরকারের ভ‚লগুলো ঢাকা দেয়ার জন্যই একদিনের মধ্যে বাজেটের আয়োজন করেছে তারা।
হারুনুর রশিদ বলেন, আওয়ামী লীগের যারা বাজেট বিশেষজ্ঞ তারা কেউ এই বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছে আমি দেখিনি। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সকলেই বলেছে, এটা একটা অস্বাভাবিক এবং কল্পনাবিলাসী বাজেট। করোনাকালীন সংকট উত্তরণের জন্য আমাদের যে রোডম্যাপ দরকার ছিল এই বাজেটে কোন ধরণের নির্দেশনা নাই।
তিনি বলেন, আজকে কারা সবচেয়ে ক্ষমতাশালী? যারা দেশের ব্যাংক লুটেরা, যারা বিদেশে টাকা পাচার করছে, যারা মানব পাচার করছে, যারা মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। তারাই আজকে দেশে সব চাইতে প্রভাবশালী। এই সরকারের এসব কর্মকাÐের কারণেই পুরো জাতি আজ একটা দুর্ভোগের মধ্যে পতিত হয়েছে। এই দুর্ভোগ থেকে উত্তরণের জন্য এর আগেই বিএনপির পক্ষ থেকে একটি বাজেট প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে এবং করোনা উত্তরণে একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এগুলোকে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যেভাবে উপহাস করে কথাবার্তা বলেছেন এসবের প্রতিক্রিয়া জানানোর কোন ভাষা জানা নাই। প্রধানমন্ত্রীর মতো শীর্ষ জায়গা থেকে যদি বলা হয় অদৃশ্য শক্তির কাছে কি হার মানা যায়? সারা পৃথিবী যেখানে আজ বিপর্যস্ত সেখানে করোনা নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্যকর কথা আসে সেগুলো আসলেই দুঃখজনক।
ওকিল আবদুস সাত্তার বলেন, এই সংকটের মুহূর্ত্বে একটি জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। কিন্তু সরকার এগুলো পাত্তা দিচ্ছে না। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ। তাদের কাছে আমার অনুরোধ যে বাজেট ঘোষণা করেছেন আপনারা সেটা বাস্তবায়ন করুন। যদিও আমাদের কাছে এই বাজেট অবাস্তব এবং অস্পূর্ণ বাজেট মনে হয়।
গোলাম মোহম্মদ সিরাজ বলেন, এবার উচিত ছিল আপদকালীন এবং সংকট উত্তরণের বাজেট ঘোষণা করা। কিন্তু সেটা আমরা দেখিনি। এটা একটা স্বাভাবিক বাজেট বলে আমার মনে হয়েছে। আলোচনায় আরও অংশ নেন মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।