রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
এএফএম ফারুক চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাব-জেল আড়াই যুগেও আলোর মুখ দেখেনি। ভারতীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা দোয়ারাবাজার সাব-জেল এখন ছিন্নমূল মানুষের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। অযতেœ-অবহেলায় পড়ে রয়েছে সরকারের প্রায় ১০ কোটি টাকার ভূ-সম্পদ। নির্মাণের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করলেও এখানের নির্মিত সাব-জেল ও সরকারি ভূমি কোনো রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে সাব-জেল ও জেল সংলগ্ন সরকারি মূল্যবান ভূমি দীর্ঘদিন ধরে অযতœ-অবহেলা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জেল কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত কয়েকটি সরকারি কোয়ার্টার এখন ছিন্নমূল মানুষের স্থায়ী বাসস্থানে পরিণত হয়েছে। জানা যায়, ১৯৮৪ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে এ সাব-জেল নির্মাণ করেন। কালিউরি নদীর তীরে এক দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে নির্মিত সাব-জেল এখনো মানুষের নজর কাড়ে। দেড় একর ভূমির মধ্যে প্রায় ৮০ শতক জায়গাজুড়ে সাব-জেলের মূল অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। সু-উচ্চ প্রাচীর বেষ্টিত দু’তলা সাব-জেলের প্রধান ফটকে রয়েছে লোহার ভারি দুটি গেইট। প্রাচীরের উভয় পাশে রয়েছে জেল কর্তৃপক্ষের জন্য নির্মিত আবাসিক কোয়ার্টার। নির্মাণের ৩০ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও সাব-জেলের দেয়ালগুলোতে শেওলা জমে গেছে এবং আবাসিক কোয়ার্টারের দরজা-জানালা চুরি হয়ে গেছে অনেক আগেই। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় প্রায় ১২ বছর আগে সাব-জেলে প্রধান ফটকের দু’তলায় স্থানান্তর করা হয়। ওই সময় থেকেই সাব-জেলের প্রধান ফটকে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে সমাজসেবা অফিসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে জেলের ভেতরের অংশ অনেকটা ভূতুড়ে নগরীর মতো। প্রায় ১০ কোটি টাকার সরকারি সম্পদ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে যুগের পর যুগ। স্থানীয় প্রশাসন এ মূল্যবান সম্পদ ব্যবহারে ও রক্ষায় কখনো কোন বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ওই ভূ-সম্পদ এক সময় ভূমি খেকো প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সীমান্তঘেঁষা অবহেলিত দোয়ারা উপজেলায় যে উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা নিয়ে এ সাব-জেল নির্মাণ করা হয়েছিল আদৌ কোনদিন কয়েদি, কারারক্ষী, জেলার ও জেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ও মুখরিত হবে কিনাÑ এ প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।