পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পয়সার জন্য চেয়ার-টেবিলও হা করে থাকে। এমন প্রবাদতুল্য অভিযোগ সেবামূলক সরকারি অফিসগুলোর বিরুদ্ধে। দেশের বিচারাঙ্গনের ক্ষেত্রেও কথাটি অনেকটা সত্য। এখানে টাকার জন্য হা করে থাকেন টেবিল-চেয়ার নিয়ে বসা মানুষগুলো। দুর্নীতি এখানে পরতে পরতে। আর এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাঝেমধ্যেই হুঙ্কার ছাড়তে দেখা যায়, সুপ্রিমকোর্ট বার এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকে। সর্বশেষ নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীও বিচারাঙ্গনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন। শপথ নেয়ার পরই তিনি দুর্নীতির খাতগুলো চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিতে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন। রাত-দিন কাজ করছে এ কমিটি। প্রশ্ন হচ্ছে, বিচারাঙ্গনে দুর্নীতি করছে কারা?
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের বেঞ্চ আর সেকশনের বিরুদ্ধে কর্মরত আইনজীবীদের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। বছরের পর বছর ধরে গড়ে উঠেছে দালাল চক্র। এরা আদালতের সঙ্গে কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট না হয়েও নানান কাজ করে দেয়ার নামে প্রতারণা করছে। অন্তত: দুই হাজারের বেশি টাউট-প্রতারক সক্রিয় রয়েছেন উচ্চ আদালতে। এই দালাল শ্রেণি সৃষ্টি হয়েছে বিচারাঙ্গনের বিভিন্ন টেবিলের নানামাত্রিক হয়রানির কারণে। কারণ বিচারপ্রার্থী যতদ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক সেবাটি পেতে চায়। আর এই সেবা পেতে হলে ঘাটে ঘাটে গুনতে হয় কড়ি।
গত ২ জানুয়ারি বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েই বিচারাঙ্গনের দুর্নীতি সম্পর্কে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেন। তিনি বলেছেন, বিচার বিভাগে দুর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেবো না। দুর্নীতির বিষয়ে ‘নো কম্প্রোমাইজ’। আঙুলে ক্যান্সার হলে যেমন কেটে ফেলতে হয়, দুর্নীতিও তেমনি। কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশন নেয়া হবে।
জানতে চাইলে বিচারাঙ্গনে দুর্নীতি রোধে গঠন করা দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (সার্বিক) মো: আব্দুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সেকশন পরিদর্শন করছি। দুর্নীতিপ্রবণ সেকশনগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রতিদিন আপডেট নিচ্ছি। এছাড়া অনিয়ম-দুর্নীতির যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে দুর্নীতির খাতগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। প্রধান বিচারপতিকে সময় সময় আপডেট দেয়া হচ্ছে।
ঘাটে ঘাটে গুনতে হয় পয়সা :
‘ভালো আইনজীবী’ কিংবা ‘সিনিয়র আইনজীবী’ নাগাল পেতে লাগে এদের মাধ্যম। আবেদনকারীর পক্ষে দ্রুত শতভাগ রায় এনে দেবেন- এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘মক্কেল’ ধরার একটি শ্রেণি গড়ে উঠেছে। এরা আত্মীয়-স্বজন কিংবা পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যম ধরে মামলা নেন। যে আইনজীবী আদালতে মামলাটি শুনানি করবেন- অনেক ক্ষেত্রেই তারা সঙ্গে ফরিয়াদির সাক্ষাৎ ঘটানো হয় না। এখানে সৃষ্টি হয়েছে মধ্যস্বত্বভোগী একশ্রেণির দালাল চক্র। এরা খুবই শক্তিশালী। এদের কথা-কাজে মিল নেই। ফরিয়াদির কাছ থেকে ‘খরচাপাতি’ বাবদ টাকা নেয়ার পর দালালের কথার ধরনই পাল্টে যায়। এ ধরনের দালাল দ্বারা সাধারণ মানুষের যুগের পর যুগ ধরে প্রতারিত এবং হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে নালিশ করার জায়গা নেই। কার্যকর কোনো প্রতিকারও মেলে না।
হাইকোর্টে আপিলসহ যেকোনো মামলা বা আবেদনে হলফনামা (এফিডেভিট) দিতে হয়। কাজটি সংশ্লিষ্ট সেকশনের। কোন মামলার শুনানি কোন বেঞ্চে হবে এই তালিকা প্রণয়ন করেন বেঞ্চ অফিসার। হলফনামার ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে সশরীরে হাজির হতে হয়। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, ফরিয়াদি হাজির না হলেও সেকশন থেকে অর্থের বিনিময়ে হলফনামা করিয়ে নেয়া হয়। দুর্নীতির এ পর্যায়ে যুক্ত থাকেন আইনজীবীদের মুহুরি বা ক্লার্ক।
আবার হলফনামা বেঞ্চে না উঠলে মামলা দৈনন্দিন কার্যতালিকায় (কজলিস্ট) থাকলেও আদালত শুনানি নেন না। বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের জন্য হলফনামা তৈরি করে বেঞ্চে পাঠাতে গড়িমসি করা হয়।
এদিকে মামলার তালিকা প্রণয়নেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। এটিকে বলা হয় বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ আদায়ের সবচেয়ে বড় মওকা। কজলিস্টে তালিকায় না উঠলে শুনানি হয় না। মামলা তালিকায় তুলতে লাগে টাকা। তালিকার সিরিয়াল নম্বর আগে-পরে করতেও লাগে অর্থ। আদেশের পর রয়েছে- লিখিত আদেশের কপি হাতে পাওয়ার বিষয়। লিখিত আদেশ ছাড়া মামলার কার্যকরিতা শুরু হয় না। টেবিলে টেবিলে আদেশ ঝুলিয়ে রেখেও বিচারপ্রার্থীর কাছ থেকে আদায় করা হয় টাকা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় হাইকোর্ট বিভাগের ফৌজদারি মোশন বেঞ্চগুলো স্বল্পমেয়াদে অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দেয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রাথমিকভাবে ৬ মাস বা ১ বছর। জামিন লাভের পর সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে আদেশ নামানো, আদেশ ডেসপাস করা প্রতিটি ক্ষেত্রেই অহেতুক নানাবিধ অতিরিক্ত পয়সা খরচ করতে হয়। অথচ আদালতে ফাইল আনা, ফাইল পাঠানো কিংবা আদেশ পাঠানো আইনগতভাবে অত্র আদালতের প্রশাসনিক দায়িত্ব। এটিই যে নিয়ম সেটিই অনেক নবীন আইনজীবী জানেন না।
দুর্নীতি-অনিয়ম এতোটাই শিকড় গেড়েছে যে, অনেকে মনে করেন, এসব প্রশাসনিক কাজ সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বা আইনজীবী সহকারীর দায়িত্ব। এ কারণে বিচার প্রশাসনে নানারকম দুর্নীতি ও অনিয়ম ঘটছে। একটি মামলা এফিডেভিট করে দায়েরের পর আদালত পর্যন্ত পৌঁছাতে ও আদালতের আদেশের পর আদেশ পাঠানো পর্যন্ত পদে পদে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হয়। কোনো মামলা জামিন কিংবা স্থগিতাদেশ বাড়ানোর জন্য সময়মতো নির্দিষ্ট আদালতে ফাইল না আসা কিংবা আদেশ সময়মতো বিচারিক আদালতে না পৌঁছানোর ফলে জামিন পাওয়া ব্যক্তির অহরহ বিচারিক আদালত কর্তৃক পুনরায় কারাগারে পাঠানোর ঘটনা ঘটছে।
আদালতের রেকর্ডরুমেও রয়েছে দুর্নীতি। মামলার রেকর্ড খুঁজে পেতে প্রায়ই দেখা যায় ভুক্তভোগীকে হন্যে হয়ে ঘুরতে। স্পর্শকাতরতার কারণে সর্বসাধারণ এ রুমে প্রবেশ করা বারণ। তবে আইডি কার্ড থাকলে আইনজীবীদের ক্লার্করা রুমে ঢুকতে পারে। এ রুমে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্বে থাকেন, তাদের অধিকাংশই ভুক্তভোগীদের কাছে ‘সহযোগিতা’র বিনিময়ে বাড়তি অর্থ নিয়ে থাকে।
মান্ধাতা আমলের রেকর্ড সংরক্ষণ পদ্ধতিও দুর্নীতির বড় সহায়ক। রেকর্ড সংরক্ষণের আধুনিক কোনো পদ্ধতি নেই। বিচারাঙ্গনে অবকাঠামো নির্মাণে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও আধুনিক রেকর্ড সংরক্ষণ পদ্ধতি থেকে উচ্চ আদালত এখনও অনেক দূরে। প্রতিটি রেকর্ড রুমে ‘ঠাঁই নেই ঠাঁই নেই’ অবস্থা। স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় অনেক পুরোনো মামলার রেকর্ড বারান্দায়, করিডোরে যততত্র অযত্নে ফেলে রাখতে দেখা যায়। এককালের ‘সড়ক ভবন’ এখন হাইকোর্ট ব্যবহার করছে। এখানকার ৩নং ভবনের দোতলা-তিনতলা পরিদর্শনে দেখা যায়, বহু পুরাতন মামলার ফাইল করিডোরে ফেলে রাখা হয়েছে। অগোছালোভাবে ফাইল রাখার কারণে অনেক পুরোনো মামলার ক্ষেত্রে নথি খুঁজে পাওয়া যায় না। অনেক সময় মামলায় পক্ষ বিশেষে স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা নথি অন্যত্র সরিয়ে রাখেন। বাড়টি টাকা গুনলে সেটি বের করে দেন। মামলার ফাইল গায়েব হওয়ার ঘটনাও ঘটে। কয়েক বছর আগে ‘ভূমি কুতুব’খ্যাত ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রটোকল অফিসারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)র দায়েরকৃত মামলার ফাইল ৩ বছর ‘গায়েব’ ছিল। দুদকের আপিল করার সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর ফাইলটির খোঁজ মেলে।
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলার নথিও গায়েব হয়ে যায়। পরে দুদকের আইনজীবী হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন রেজিস্ট্রারকে চিঠি দিলে নথির খোঁজ মেলে। অভিযোগ রয়েছে, রেকর্ডরুমে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অর্থের বিনিময়ে এক জায়গার নথি অন্য জায়গায় নিয়ে রেখে দেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেকর্ডরুমের এক কর্মকর্তা জানান, আইনজীবীর সহকারীরা (মুহুরি) রেকর্ডরুমে অনধিকার প্রবেশ করে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। পরস্পর এই দোষারোপের মধ্যেও মামলার নথি তল্লাশিতে চলছে অর্থের লেনদেন। অতীতে অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সুপ্রিম কোর্ট বারের অভিযোগের ভিত্তিতে সেকশনে টোকেন পদ্ধতি চালু করা হয়। নিয়ম করা হয়, মামলার হলফনামার জন্য কাগজপত্র জমা দিয়ে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবীর সহকারী একটি টোকেন নেবেন। আবার সেই টোকেন দেখিয়ে তারা গেটের বাইরে থেকেই কাগজপত্র নেবেন। সেকশনের ভেতর প্রবেশ করবেন না। এ পদ্ধতিতে কিছুদিন লেনদেন বন্ধ থাকে। কিন্তু মাথায় বাজ পড়ে সেকশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। অবসরে যাওয়া প্রধান বিচারপতির সময় দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ৪৩ জন আইনজীবী-সহকারীকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
সক্রিয় দুই হাজার প্রতারক : উচ্চ আদালতের রায় কিংবা আদেশ জালিয়াতির অভিযোগ পুরোনো। এই অপরাধের সঙ্গে একশ্রেণির আইনজীবী, আইডিধারী ক্লার্ক, কতিপয় বেঞ্চ অফিসার, কোর্ট কর্মচারী, আদালত থেকে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইনজীবীর কালো পোশাক পরিহিত বহিরাগত দালালচক্র জড়িত। চক্রটি কোনো কোনো আইনজীবীর মক্কেল ধরার কাজ করে। তারা মামলা পরিচালনা, সেকশন ও বেঞ্চের কাজ করে দেয়ার জন্য বিচারপ্রার্থীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়। এমন চক্রও রয়েছে যারা আদালতের ভুয়া আদেশ ও ভুয়া জামিননামা সৃজন করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এমন বেশ কিছু ভুয়া আদেশ ও জামিননামা ধরা পড়ে। বিচারাঙ্গনকে ঘিরে অন্তত ২ হাজার প্রতারক সক্রিয় রয়েছে বলে জানা যায়। প্রতারকচক্রগুলো আদালতপাড়ার আশপাশে রীতিমতো চেম্বার খুলে বসেছে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: মিজানুর রহমানের মতে, এই চক্রের সঙ্গে বেঞ্চ অফিসাররাও জড়িত। তাদের সহায়তা ছাড়া এ ধরনের জালিয়াতি অসম্ভব। প্রধান বিচারপতির দুর্নীতিবিরোধী উদ্যোগকে স্বাগত জানান মিজান। আদালত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুপ্রিম কোর্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের মুহাম্মদ আজিম উদ্দিন ফরাজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
নয়া প্রধান বিচারপতির দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানকে স্বাগত জানিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, সুপ্রিম কোর্ট হচ্ছে- বিচারপ্রার্থীর সর্বশেষ আশা ভরসার স্থল। এ অঙ্গনকে কুলষমুক্ত রাখা, দুর্নীতিমুক্ত রাখা সবার দায়িত্ব। ঘুষ-দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় সোচ্চার। কারণ আইনজীবীরা প্রতিনিয়ত কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন। তিনি বলেন, কোনো মামলা জামিন কিংবা স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য সময়মত নির্দিষ্ট আদালতে ফাইল না আসা কিংবা আদেশ সময়মতো বিচারিক আদালতে না পৌঁছানোর ফলে বিচারিক আদালত জামিনপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে পুনরায় কারাগারে পাঠাচ্ছেন। এসব সমস্যা সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য প্রধান বিচারপতির প্রতি অনুরোধ জানান রূহুল কুদ্দুস কাজল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।