পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিডিয়ায় বক্তব্য না দিয়ে শামসুদ্দিন ফাইল ফেরত দেবেন : প্রধান বিচারপতি
বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন প্রধান বিচারপতি : শামসুদ্দিন চৌধুরী
শেখ জামাল : অবসরে যাওয়ার পর রায়ে স্বাক্ষর করা নিয়ে বিচারপতিদের পাল্টা বক্তব্যে বিচার বিভাগের ওপর আস্থা হারাচ্ছে জনগণ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও অবসরে যাওয়া বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর পাল্টা বক্তব্যে বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও তারা বসে মীমাংসা করা উচিত বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ মনে করেন, জনসম্মুখে বিচারপতিদের এ ধরনের বক্তব্য বিবৃতকর। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, যেভাবে বিচারপতিদের পাল্টা বিবৃতি হচ্ছে তাতে সুপ্রিম কোর্টের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করছে না। বিচারপতিদের ওপর জনগণের প্রত্যাশা সূদৃঢ় হচ্ছে না। বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী সংবিধানবিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্যে করছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আপিলের রায় ও আপিলের রুলস অনুযায়ী বক্তব্য দিয়েছেন।
এদিকে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ‘সংবিধান, আইন ও প্রথা বিরোধী’ আচরণ করছেন বলে আবারও অভিযোগ করেছেন আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, অবসরে যাওয়ার পর যেসব রায় ও আদেশ তিনি লিখেছেন, তা জমা দিতে চাইলেও প্রধান বিচারপতির ‘নির্দেশনার কারণে’ তা নেওয়া হয়নি। অবসরে যাওয়ার পর লেখা সেসব রায় ও আদেশ গ্রহণ করতে গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন চার মাস আগে অবসরে যাওয়া এই বিচারক। সেই চিঠিতেই এসব অভিযোগের কথা এসেছে। গতকাল দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ওই চিঠির বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের সামনেও তুলে ধরেন শামসুদ্দিন চৌধুরী।
অপরদিকে শামসুদ্দিন চৌধুরীর লেখা রায় গ্রহণ করা হচ্ছে না’Ñ এমন অভিযোগের পর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী একটি প্রেস কনফারেন্স করেন যা ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির গোচরীভূত হয়। যদিও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ ধরনের প্রেস কনফারেন্স নজিরবিহীন। প্রধান বিচারপতি আশা করেন, বর্তমান ও ভবিষ্যতে বিচারপতিরা কোর্টের পবিত্রতা ও মর্যাদা বজায় রাখার স্বার্থে এ রূপ কার্য হতে বিরত থাকবেন’।
এর আগে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পূর্তিতে গত ১৭ জানুয়ারি এক বাণীতে বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, অবসরে যাওয়ার পর বিচারকদের রায় লেখা ‘সংবিধান পরিপন্থী’।
এই বিষয়ে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক ইনকিলাবকে বলেন, বিচারপতিরা রায় কখন লিখবেন আইনে কিছু বলা নেই। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া আইন হচ্ছে প্রায় ৩৫ হাজার পৃষ্ঠার মতো। আমরা আইনজীবীরা ফৌজধারী, সিভিল মামলাসহ ২ হাজার আইনের মধ্যে মামলা পরিচালনা করি। রায় কখন লিখবে, রায় গ্রহণ করা না করা তা বিচারপতিদের ব্যাপার। যেভাবে বিচারপতিদের পাল্টা বিবৃতি হচ্ছে তাতে সুপ্রিম কোর্টের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করছে না। বিচারপতিদের ওপর জনগণের প্রত্যাশা সূদৃঢ় হচ্ছে না। রায় লেখার ব্যাপারে বিচারপতিদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলে সেটা নিজেরা বসে মীমাংসা করা এখন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। এই নিয়ে বিচারপতিরা জনসম্মুখে যত বেশি কথা বলবেন বিচারের জন্য তত বেশি অমঙ্গলকর।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, বিচারপতিরা অবসরে যাওয়ার পরে রায় লিখতে পারবে না এরকম কোনো আইন নেই। একটি আইন করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি যদি বলতো যে, অবসরে যাওয়ার পর রায়ে স্বাক্ষর করা যাবে না, তাহলে ভালো হতো। বিচারপতিরা যে ধরনের বক্তব্য জনসম্মুখে দিচ্ছেন তা বিব্রতকর। এ ধরনের বক্তব্যে বিচার বিভাগের ওপর জনগণ আস্থা হারাবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী সংবিধানবিরোধী কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হয়ে অবসরে গিয়ে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে পারেন না। তিনি দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী কাজ করছেন। তিনি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে শামসুদ্দিন চৌধুরী বক্তব্যই দিতে পারেন না। প্রধান বিচারপতি আপিলের রায় ও আপিলের রুলস অনুযায়ী বলেছেন যে, অবসরে যাওয়ার পর রায়ে স্বাক্ষর করা যাবে না।
শামসুদ্দিন চৌধুরীর চিঠি
প্রধান বিচারপতিকে দেয়া চিঠিতে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর গতকাল আরো বলেছেন, ‘আমি ইতোপূর্বে আপনাকে অবহিত করেছি যে, আপনার এরূপ আচরণ সংবিধান, আইন ও প্রথাবিরোধী ও একই সাথে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।’
তিনি লিখেছেন, ‘আমার প্রিজাইডিং জজ, বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিয়াকে আমার লেখা সমাপ্ত হওয়া রায় ও আদেশগুলো গ্রহণ করার অনুরোধ করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন যে, প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির লিখিত রায় ও আদেশ গ্রহণ করা যাচ্ছে না।’ অবসরের পর ‘বৈষম্যমূলকভাবে’ তার অফিস তালাবদ্ধ করে দেওয়ায় এবং অফিসের সব কর্মী ও সুবিধা থেকে তাকে ‘বঞ্চিত’ করায় হাতে লেখা রায়গুলো ‘টাইপ করতে’ পারেননি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
প্রধান বিচারপতিকে লেখা চিঠিতে তিনি বলেছেন, ‘আপনার ব্যক্তিগত মতামত ও বিশ্বাসের জন্য আপনি বিচারব্যবস্থা আইন ও প্রথাকে অস্বীকার করতে পারেন না। কারণ আপনি সাংবিধানিক শপথ নিয়েছেন।’ নিজের শুনানি করা রায় ও আদেশ লেখার কাজ শেষ করেছেন জানিয়ে প্রধান বিচারপতিকে তিনি সেসব রায় ও আদেশ গ্রহণের ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নিতে বলেছেন। ওই চিঠির অনুলিপি আইনমন্ত্রী ও আপিল বিভাগের অপর বিচারকদেরও পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যা
সুপ্রিম কোর্টের ব্যাখ্যায় আরো বলা হয়, ‘প্রেস কনফারেন্সে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী উল্লেখ করেন, আমার প্রিজাইডিং জজ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্্হাব মিঞাকে আমার লেখা সমাপ্ত হওয়া রায় ও আদেশগুলো গ্রহণ করার অনুরোধ করলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বলেন যে, প্রধান বিচারপতির নির্দেশনা অনুসারে কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির লিখিত রায় ও আদেশ গ্রহণ করা যাচ্ছে না’। ‘উক্ত বক্তব্য প্রধান বিচারপতির গোচরে আসলে প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্্হাব মিঞার দৃষ্টিআকর্ষণ করলে তিনি প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করেন যে, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী তার কাছে লিখিত রায় কিংবা আদেশ গ্রহণ করার জন্য জমা দেননি’।
ব্যাখ্যায় বলা হয় ‘বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি আশা করেন যে, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মিডিয়াতে মামলার রায় ও আদেশ সংক্রান্ত কোনোরূপ বক্তব্য না দিয়ে তার নিকট যতগুলো অনিষ্পত্তিকৃত রায়ের মামলার ফাইল রয়েছে তা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিসে অতি সত্বর ফেরত প্রদান করবেন, যাতে বিচারপ্রার্থীদের আর ভোগান্তি না হয়’।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ৩ জুলাই বাংলাদেশের হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পাওয়া শামসুদ্দিন চৌধুরী গত বছর ১ অক্টোবর আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে অবসরে যান।
এদিকে অবসরে যাওয়া আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির কাছে অন্তত ১৬২টি মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় ঝুলে আছে। এসব মামলার মধ্যে চার-পাঁচ বছরের পুরোনো মামলাও আছে। আদালত সূত্রে জানা যায়, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদানের অপেক্ষায় ঝুলে থাকা ১৬২টি মামলার মধ্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের কাছে ৯টি এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কাছে ১৫৩টি মামলার রায় রয়েছে। উল্লেখিত দুই বিচারপতি দায়িত্বে থাকার সময় এসব মামলার সংক্ষিপ্ত রায় দিয়ে গেছেন। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ রায় দেওয়ার আগেই তারা অবসরে যান। মোজাম্মেল হোসেন অবসরে গেছেন এক বছরেরও বেশি সময় আগে।
৬৮ কারাগারের বন্দিদের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, যেসব ক্রিমিনাল দেশ ও নাম পরিবর্তন করে তাদের শনাক্ত করতে ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। দেশে ৬৮ কারাগারে আটক বন্দীদের সব তথ্য ওই ডাটাবেজে রয়েছে। অপরাধ কমানোর জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে কোন আসামি বাইরে যাচ্ছে, কে ভেতরে থাকছে সব তথ্যই জানা যাবে। গতকাল রোববার দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদর দফতরে ‘র্যাব-প্রিজন ইনমেট ডাটাবেজ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা অন্য কেউ যাতে ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করতে না পারেন, এ জন্য তাদের পরিচয়পত্রও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভিযোগ রয়েছে, সরকরি কর্মকর্তাদের নামেও ভুয়া পাসপোর্ট তৈরি করা হয়। এগুলো যেন না হয় সে জন্য ভবিষ্যতে সরকারি অফিসগুলোতেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিচয়পত্র ও বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী অথবা অন্য কেউ ফেইক (ভুয়া) পাসপোর্ট তৈরি করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, এই ডাটাবেজ তৈরির কারণে কোনো অপরাধী নাম অথবা দেশ পাল্টাতে পারবে না। ডাটাবেজ ইমিগ্রেশনের সঙ্গেও যুক্ত করা হবে। যাতে কোনো অপরাধী বিদেশে পালিয়ে সে দেশে অপরাধ করে ফের যেন দেশে প্রবেশ করতে না পারে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এর একটি সফল উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলো। এটার জন্য র্যাব কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। র্যাব ও প্রিজন কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত ক্রিমিনাল ডাটাবেজটি করতে সমর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ডাটাবেজের সঙ্গে আইজি প্রিজন এখন সম্পৃক্ত হচ্ছেন। ভবিষ্যতে পাসপোর্টের ডিজিও হবেন। তার অধীনে এক কোটি ২৮ লাখেরও বেশি এমআরপি পাসপোর্ট প্রিন্ট হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে। এ ছাড়া ন্যাশনাল আইডির সঙ্গে এই ডাটাবেজ যুক্ত হয়েছে। সবাই এই ডাটাবেজের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একজন ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে আইজি (প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফখার উদ্দিন বলেন, অনেক সময় এক আসামি কোর্টে হাজিরা দিতে বের হয়। কিন্তু পরে দেখা যায়, জেলখানায় প্রবেশ করে অন্য একজন। ডাটাবেজের কারণে এটা আর সম্ভব হবে না। কোন আসামি জেলখানা থেকে বের হচ্ছেন, আর কে ভেতরে প্রবেশ করছেন সব তথ্য এই ডাটাবেজে থাকবে। তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্টও নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় আসামিরা অপরাধ করে ভিন্ন ভিন্ন নাম ব্যবহার করে থাকে। এবার তা করা সম্ভব হবে না। অনেক সময় দেখা যায়, ছোটভাই অপরাধ করছে, কিন্তু ছোটভাই উপার্জনক্ষম হওয়ায় পরিবার নাম পরিবর্তন করে বড়ভাইকে জেলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। জাতীয় পরিচয়পত্র ডাটাবেজে যুক্ত হওয়ায় এবার কেউ ভুয়া নাম ব্যবহার করতে পারবে না।
র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, এই ডাটাবেজের মাধ্যমে দেশের ৬৮টি জেলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হলো। এর মাধ্যমে ভুয়া ও বিভিন্ন নাম দিয়ে আটক হওয়া জঙ্গিদের শনাক্ত করা যাবে। তাদের গতিবিধিও লক্ষ করা যাবে। তারা কখন জেল থেকে বের হচ্ছেন, কখন জামিন পাচ্ছে; সবকিছুই র্যাব সদর দফতর ও প্রিজন মনিটরিং করতে পারবে। এতে জাতীয় নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।
ডাটাবেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান এবং র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জিয়াসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধাণগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, এর একটি সফল উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলো আজ। এটার জন্য র্যাব কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। র্যাব ও প্রিজন কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত ক্রিমিনাল ডেটাবেইসটি করতে সমর্থ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।