প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চিত্রনায়ক শাকিব এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেই যে গত বছরের নভেম্বরে একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের নাম করে গিয়েছেন, আর আসার নামগন্ধ নেই। তার এই না আসার কারণ সম্পর্কে শাকিব নিজে কোনো কিছু না বললেও, তার ঘনিষ্টজনরা নানা কারণ ব্যাখ্যা করছেন। কেউ বলছেন, শাকিব যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছেন। এজন্য তাকে নিয়ম অনুযায়ী, ৬ মাস দেশটিতে অবস্থান করতে হবে। এ তথ্য যদি সঠিক হয়, তবে আগামী মে মাসের আগে তার ফেরা হচ্ছে না। আবার এ কারণের পাশাপাশি আরেকটি কারণের কথাও তার ঘনিষ্টজনরা বলেছেন। তিনি নাকি আগামী ঈদে মুক্তি দেয়ার জন্য সেখানে একটি সিনেমা প্রযোজনার দায়িত্ব পালন করছেন। সিনেমাটি প্রবাসী এক পরিচালক পরিচালনা করবেন। এতে শাকিব ও আমেরিকান-বাংলাদেশি এক নবিশ নায়িকা অভিনয় করবেন। তবে তার ঘনিষ্টজনরা বলছেন, এ সিনেমা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমা নির্মাণ করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অনুমতি পাওয়াসহ নানা ঝক্কিঝামেলা রয়েছে। শাকিবের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানের কারণ যাই হোক না কেন, ইতোমধ্যে তার বিয়ে এবং সংসার নিয়ে নতুন এক আলোচনা শোনা যাচ্ছে। শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক শিল্পী, পরিচালক ও প্রযোজকরা এফডিসিতে আসছেন। এ প্রতিবেদকের সাথে শাকিবের ঘনিষ্ট এক প্রযোজকের আলাপ হয়। শাকিবের বিপদে-আপদে তিনি সবসময় পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার কাছে শাকিব সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি নিজ থেকেই বললেন, নায়িকা অপু বিশ্বাসের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর শাকিবের সাথে এ সময়ের ‘ব’ আদ্যাক্ষরের এক নায়িকার ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠে। যদিও অপুর সাথে ছাড়াছাড়ির আগেই ‘ব’-এর সাথে তার সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত হয়। অপু এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন। সামনা সামনি চুলোচুলি না হলেও দু’জনের বক্তব্য-বিবৃতিতে একে অপরকে তুলোধুনো করেন। শেষ পর্যন্ত অপুর সাথে ছাড়াছাড়ি হলে শোনা যায়, শাকিব ‘ব’কে বিয়ে করেছেন এবং ‘ব’ মা-ও হচ্ছেন। সে সময় উক্ত প্রযোজকের সিনেমার একটি গানে ‘ব’কে অন্ত:সত্ত্বা অবস্থায় শুটিংও করতে হয়েছে। সে ছবি সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয়েছে। সকলেই সে সময় একপ্রকার নিশ্চিত হয়েছিলেন শাকিব ও ‘ব’ খোলাখুলিভাবে কোনো কিছু স্বীকার না করলেও তাদের বিয়ে হয়েছে এবং ‘ব’ তার সন্তানের মা হচ্ছেন। এর কয়েক মাস পর ‘ব’ যুক্তরাষ্ট্রে যান। এ নিয়ে তখন কথা উঠে সন্তান জন্ম দিতে তিনি সেখানে গিয়েছেন। সে যাই হোক, উক্ত প্রযোজককে এ প্রতিবেদক সরাসরি প্রশ্ন করেন, শাকিব ও ‘ব’ কি বিয়ে করেছেন? তিনি উল্টো প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, তা নাহলে ‘ব’-এর সন্তানের বাবা কে? তাকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বললাম, অন্য কেউ তো হতে পারে নাকি? তিনি জবাবে বলেন, আমার চেয়ে শাকিবের ঘনিষ্ট আর কে আছে? ‘ব’কে নিয়ে আমি কাজ করেছি। যে সময়ের এ ঘটনা, সে সময় আমিই তো তাদের নিয়ে কাজ করেছি, কাছ থেকে দেখেছি। তার এ কথার পর বিষয়টি স্পষ্ট হতে আর কিছু বাকি থাকে না। তাকে প্রশ্ন করলাম, ছেলে হয়েছে নাকি মেয়ে? জবাবে বললেন, ছেলে। এখন তার বয়স দুই বছর। যদি তাদের বিয়ে এবং সন্তান হয়েই থাকে তাহলে তারা ঘোষণা দিচ্ছেন না কেন? শাকিবেরও তো বয়স হয়েছে। বিয়ে করা তো অপরাধ নয়? তার জুনিয়র অনেক নায়কই তো বিয়ে করে সন্তানের বাবা হয়েছেন। এতে তো তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এমন মন্তব্যে তিনি শাকিবের ওপর বেশ বিরক্ত ও ‘ব’-এর প্রতি সহমর্মী হয়ে বলেন, কি বলব, ভাই! শাকিব যা করছে, তা বিবেকবান মানুষের কাজ নয়। ‘ব’ বেশ কষ্টে আছে। শাকিব তাকে অনেকটা এড়িয়ে চলছে। দেখভাল করছে না। অন্তত ছেলের দিকে তো তার তাকানো উচিৎ! তাহলে, শাকিব পরিবারসহ নাগরিকত্বের আবেদন করেছেন বলে যে কথা রটেছে, এ সম্পর্কে কি বলবেন? তিনি অনেকটা খেদের সাথে বললেন, আরে ভাই, ‘ব’-এর ছেলে তো আমেরিকার নাগরিক। সেখানেই তার জন্ম। তার নাগরিকত্বের তো দরকার নেই। তিনি বলেন, যত যাই বলেন, শাকিব কাজটি মোটেও ঠিক করছে না। মানুষের আত্মারও তো একটা কষ্ট আছে। এ কষ্টের ফল শাকিব একদিন না একদিন পাবে। তাকে প্রশ্ন করি, শাকিব যদি স্ত্রী হিসেবে ‘ব’ এবং তার ছেলেকে স্বীকৃতি না দেন, তাহলে কি হবে? তাহলে আর কি! তাদের নীরবেই ট্রাজেডির শিকার হতে হবে। না পারবে কইতে, না পারবে সইতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।