বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত বুধবার(১৯ জানুয়ারি) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) রেজিস্ট্রার দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়টির দায় নিচ্ছেন না শিক্ষক থেকে হওয়া রেজিস্ট্রারের অপসানের দাবি জানানো বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের নেতৃস্থানীয় কেউই।
এদিকে বৃহস্পতিবার(২০জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত রেজিস্ট্রারদপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে অফিসার্স এসোসিয়েশন এবং ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির অর্ধশতাধিক কর্মচারী।
তবে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: আবদুল লতিফ বলেন, তালা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত ছিল না। কে বা কারা তালা দিয়েছে আমি জানিনা।
এদিকে ৩য় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি দ্বিপক চন্দ্র মজুমদার দাবি করেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতত্বে আমরা তালা দিয়েছি। দাবি দাওয়া পূরণ হলে আমরা তালা খুলে দিব। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. আবু তাহের। তিনি বলেন, অফিসার্স এসোসিয়েশন তালা দেয়নি। কিছু বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে তালা দিয়েছে। শিক্ষকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কে অশালীন মন্তব্য করেছে আমার জানা নেই। কেউ যদি করে থাকে অবশ্যই খারাপ করেছে।
সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারি জানিয়েছেন, তাদের সংগঠন থেকে তালা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যারা সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত তারাই তালাই মেরেছে। বুধবার রেজিষ্ট্রার মহোদয় অফিস করেছে, আমরাও আমাদের কাজ করেছি। রাতের আধারে কে বা কারা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে আমারা এখনো নিশ্চিত নয়। যারা তালা মেরেছে আগামী রবিবারের মধ্যে তারা তালা না খুলে দিলে, প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমরা তালা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রেজিস্ট্রারদপ্তরে তাদের দাবি দাওয়া উপস্থাপন করতে পারে। কিন্তু তালা ঝুলিয়ে রেখেছে। এটা কাম্য নয়।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, কর্মকর্তা কর্মচারীরা কিছু দাবি দাওয়া নিয়ে রেজিস্ট্রারদপ্তরে তালা ঝুলিয়ে রেখেছেন। কিন্তু বস্তত এসকল নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে আমার একক কোন সিদ্ধান্তে গৃহীত হয়না। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং সিন্ডিকেট সভা সকল সিদ্ধান্ত এবং নীতিমালা সম্মিলিতভাবে বাস্তবায়ন করে থাকে।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য বলেন, আমি কর্মকর্তা পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছি। তালা কে মেরেছে তারা তা স্বীকার করছে না। আবার তাদের দাবিগুলোও তারা বলতে পারছে না। এটা তো হতে পারে না। তাদের দাবি উপাচার্যেও কাছে। তাহলে তারা রেজিস্ট্রারদপ্তরে কেন তালা মেরেছে তা বোধগম্য নয়।
উল্লেখ্য, বুধবার(১৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিস্ট্রারের অপসারণ ও কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রারপদে দায়িত্ব দেয়ার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ। পরে রাত ৮টার দিকে তারা রেজিস্ট্রারদপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।