গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশে হিজরারা ‘হিজড়া’ বা ‘হিজরা’ হিসেবেই পরিচিত হবেন৷ তাদের নারী অথবা পুরুষের পরিচয় ধারণ করতে হবেনা৷ ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভা হিজরাদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এই জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে সরকারি উদ্যোগে পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে।
সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশে হিজরারাও আলাদা একটি লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃত পেয়েছে৷ তবে প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে এই তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতির পাশাপাশি সমাজে মাথা উচু করে বাঁচার জন্য বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন।
এবছরও সে আশাই দেখাচ্ছে পাথওয়ে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পাথওয়ে বরাবরের মতো এ বছরও শীতের প্রথম প্রহর থেকে সমাজের নিম্নআয়ের, হতদরিদ্রের মাঝে শীতবস্ত্র সোয়েটার, কার্ডিগান ও কম্বল বিতরণ করে আসছে।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার (২০শে জানুয়ারি) ঢাকা-মিরপুরের ১০নং জুটপট্টি ও মণিপুরে বসবাসরত অবহেলিত তৃতীয় লিঙ্গ যথাক্রমে শানু ও সোনালী দলের মাঝে দুই শতাধিক শীত বস্ত্র বিতরণ করেন পাথওয়ে।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. রইজুর রহমান ও নির্বাহী পরিচালক জনাব মো. শাহিন। উপস্থিত থেকে হিজরাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এসময় তারা নিজেদের অবহেলিত ও মানবেতর জীবনযাপনের বিভিন্ন প্রতিকূলতা এ সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
পাথওয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহিন বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ফের বেড়েছে। অনেক দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। সেখানে হিজরাদের বেঁচে থাকার বিষয়টি আরও প্রতিকূল হয়ে উঠছে। তাদের জন্যই মূলতঃ আজকের এ উদ্যোগ।
তিনি বলেন, আমরা হিজরাদের কর্মঠ ও পরিশ্রম করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহে উৎসাহিত করছি। পাথওয়ে হিজড়াদের জন্য একটি স্কিল ডেভলপমেন্ট ট্রেইনিং সেন্টার ও একটি অনলাইন ফ্রিলেন্সিং জব মার্কেটপ্লেস তৈরি করতে যাচ্ছে। যাতে করে তারা নিজেরাই চাকরির বাজারে তারা অবহেলিত না থাকে, কারো কাছে হাত পাততে না হয়। একটা সময় হিজরারা সম্ভাবনাময় উজ্জ্বল ভবিষ্যতে দেখা পাবে, আশা করেন তিনি।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. রইজুর রহমান বলেন,মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। তৃতীয় লিঙ্গের মানুষগুলো আমাদেরই কারো ভাই কারো বোন। ওরাও কোন না কোন মায়েরই সন্তান। কিন্তু কেন সমাজের বেশিরভাগ মানুষ তাদের ভালো চোখে দেখবে না? তাদের কি অপরাধ? অভাবে অথবা কর্মসংস্থান না থাকায় তারা কেন বঞ্চিত থাকবে? ওরাও সমাজ তথা রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। দরকার সবার সুদৃষ্টি, সহযোগিতা, স্থায়ী কর্মসংস্থান। মানুষ মানুষের জন্য। এটি বিবেচনায় পাথওয়ে হিজরাদের জন্য উদ্যোগী হয়েছে।
পাথওয়ে এর আগে ২০২০ সালে জীবনমান উন্নয়ন ও হাত পেতে রোজগার থেকে বেড়িয়ে স্বাবলম্বী করতে হিজড়াদের জন্য 'ফ্রি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ' কর্মসূচি শুরু করে পাথওয়ে ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।