মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কমলা হ্যারিসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলাকেই ফের সঙ্গী হিসেবে চাইছেন বাইডেন। অর্থাৎ আগামী মার্কিন নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসকে দেখতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন বাইডেন। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোটের অধিকার নিয়ে কাজ করছেন কমলা। সেই প্রসঙ্গে বাইডেনকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। যার উত্তরে কমলার কাজের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, "আমার মনে হয় ও খুবই ভালো কাজ করছে। তিনি স্পষ্ট বলেন, আগামী নির্বাচনে কমলাইআমার নির্বাচনের সঙ্গী হবেন।"উল্লেখ্য মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী, দেশের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একসঙ্গেই হয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে হোয়াইট হাউসের দখল নেয় ডেমোক্র্যাটরা। প্রেসিডেন্ট হয়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেন বারাক ওবামার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিনী হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্টের আসনেত বসেন কমলা হ্যারিস।
আমেরিকার অকল্যান্ডে শৈশব কেটেছে হ্যারিসের। তারপর সে দেশেই শিক্ষাগ্রহণ, বড় হয়ে ওঠা, এবং রাজনীতিতে যোগ। ২০১৭ সালে প্রথমবার ভারতীয় আমেরিকান হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর মনোনীত হন কমলা। ডেমোক্রেট সরকারের অধীনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, সিলেক্ট কমিটি অন ইন্টেলিজেন্স, বাজেট কমিটি এবং বিচার বিভাগীয় কমিটি তো কাজ করেছেন। এছাড়াও আরও অন্যান্য সরকারি দফতরে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
২০১৯ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী সঙ্গী হিসেবে কমলা হ্যারিসকে বেছে নেন। তারপর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার মন জিতে নেয় মার্কিনীদের। যার প্রতিফলন দেখা যায় ২০২০ মার্কিন নির্বাচনে। ট্রাম্পকে দুরমুশ করে হোয়াইট হাউস দখল নেয় ডেমোক্র্যাটরা।
যদিও ২০২৪ সালে নির্বাচন নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই সম্প্রতি জানিয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। এমনকি তিনি ফের বাইডেনের নির্বাচন সঙ্গী হবেন কিনা সেই বিষয়ে অবহিত নন বলেও মার্কিন সংবাদমাধ্যম দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বাইডেনের মুখে প্রশংসা শোনা গেলেও প্রশাসনিক মহলে কমলা হ্যারিসকে নিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে সমালোচনা চলছে। যার মধ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার থেকে দক্ষিণ সীমান্তে শরণার্থীসংকট। একাধিক ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে হ্যারিসকে।
উল্লেখ্য ক্ষমতায় থাকাকালীন ল্যাটিন এবং কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের ভোটাধিকার সীমিত করার চেষ্টা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সেই নীতির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতেই কাজ করে চলেছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। সূত্র: সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।