পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সার্চ কমিটিকে আইনি পোশাক পড়িয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের উদ্যোগ সরকারের রাজনৈতিক দুর্বুদ্ধি আর দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল। রাজনৈতিক মতৈক্য ছাড়া রকিব ও হুদা মার্কা সরকার অনুগত আরেকটি নির্বাচন কমিশন সরকারি দলের রাবার স্টাম্প হিসেবেই ব্যবহৃত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ইসি গঠন সংক্রান্ত নতুন আইনের উদ্যোগ রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ধোঁকা দেয়ার আরেক কৌশল; রাজনৈতিক দুর্বুদ্ধি আর দুরভিসন্ধিমূলক অপকৌশল থেকেই ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের প্রতিনিধিদের সাথে কোনো আলোচনা ও মতৈক্য ছাড়াই সরকারের পছন্দ অনুযায়ী সার্চ কমিটিকে আইনি পোশাক পরিয়ে আগামী ইসি গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সরকার ও সরকারি দলের এই অপকৌশল ইসি ও নির্বাচনকেন্দ্রীক বিদ্যমান সঙ্কটের সমাধান না করে তা আরো ঘণীভূত করবে। সরকার একদিকে যখন প্রেসিডেন্টকে দিয়ে অর্থহীন সংলাপের আয়োজন করছে, অন্যদিকে তখন নীলনকশার অংশ হিসাবে সংগোপন মন্ত্রী পরিষদকে দিয়ে কমিশন গঠনের খসড়া অনুমোদন করিয়ে সংসদে পাস করার পাঁয়তারা করছে।
বামজোট মনে করে, সরকারের যে রকিব ও হুদা কমিশনের মত আরেকটি অনুগত ও মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চায় তা অত্যন্ত স্পষ্ট। গত দুইটি ইসি সরকারি দলের পক্ষে ন্যাক্কারজনক ভূমিকা পালন করতে গিয়ে গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেশ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থাটাকেই তুলে দিয়েছে। এই ধরণের আরেকটি ইসি যে সরকারি দলের রাবার স্টাম্প হিসাবে ভূমিকা পালন করবে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সব অভিজ্ঞতা এটা প্রমাণ করছে যে, এই সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার ছাড়া এবং রাজনৈতিক দল ও জনগণের আস্থাভাজন যোগ্য নির্বাচন কমিশন ব্যতিরেকে দেশে এখন ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই। বাম নেতৃবৃন্দ সরকারকে দুরভিসন্ধি পরিহার করে মতৈক্যের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠন, সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠনে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান।
জোটের পক্ষে বিবৃতিদাতারা হলেন- জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, বাসদ’র (মার্কসবাদী) মানস নন্দি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশারেফা মিশু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) ইকবাল কবির জাহিদ ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।