মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাত্র ১৫ বছর বয়সে নাৎসি বাহিনীর বন্দিশিবিরে মৃত্যু হওয়া আনা ফ্রাঙ্ক এবং তার পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা ব্যক্তির পরিচয় পাওয়ার দাবি করা হয়েছে। নতুন এক তদন্তে ওই বিশ্বাসঘাতকের পরিচয় মিলেছে। জানা গেছে, আমস্টারডামের ভেন ডেন বার্গ নামের একজন ইহুদি নিজের পরিবারকে বাঁচাতে আনা ফ্রাঙ্ক এবং তার পরিবারকে ধরিয়ে দেন নাৎসি বাহিনীর কাছে।
দুই বছর লুকিয়ে থাকার পর ১৯৪৫ সালে নাৎসি বাহিনীর বন্দিশিবিরে ‘জ্বরে’ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে আনা। মৃত্যুর পর আনার লেখা একটি ডায়েরি পাওয়া যায়। পরে তা বই আকারে প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে। গত ৭০ বছর ধরে এটা বহুল পঠিত বইয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আনার লেখা ডায়েরিতে নাৎসি শিবিরে ইহুদিদের ওপর ভয়ঙ্কর নির্যাতনের চিত্র লিপিবদ্ধ ছিল। নতুন তদন্তে জানা গেছে, আনা ফ্রাঙ্কের মৃত্যুর ৬ মাস আগে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম শহরের একটি গোপন স্থান থেকে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের আটক করে নাৎসি বাহিনী।
কীভাবে তারা ধরা পড়ে বা কে তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল তার পুরো চিত্র তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। ওই তদন্ত দলে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের প্রাক্তন কর্মকর্তা ভিন্স প্যানকোক, ইতিহাসবিদ এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা। ৬ বছর ধরে অত্যাধুনিক অনুসন্ধানী কৌশল ব্যবহার করে এই রহস্যের উদঘাটন করেন তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেন ডেন বার্গ তার পরিবারকে বাঁচাতে আনা ফ্রাঙ্ক এবং তার পরিবারকে ধরিয়ে দেন নাৎসি বাহিনীর কাছে। তিনি ছিলেন ইহুদি কাউন্সিলের একজন সদস্য। ওই কাউন্সিলকে সেসময় ইহুদি অধ্যুষিত এলাকায় নাৎসি নীতি বাস্তবায়নে বাধ্য করা হয়। তবে ১৯৪৩ সালে কাউন্সিল ভেঙে দেয়া হয় এবং তাদের পরিবারকে বন্দিশিবিরে স্থানান্তর করা হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে, ভেন ডেন সেই সময় বন্দিশিবিরে যায়নি, বরং আমস্টারডামে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন।
পরে আনার বাবা ওটো ফ্রাঙ্কও এই বিশ্বাসঘাতককে চিনেছিলেন। তবে তিনি সেই তথ্য গোপণ করে রাখেন। কারণ আগের কিছু নথিপত্র যাচাই করে তদন্ত দল দেখেছে, ওটো ফ্রাঙ্ককে লেখা অজ্ঞাতনামা চিঠিতে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আর্নল্ড ভেন ডেন বার্গের নাম উল্লেখ করা হয়। তবে ওটো ফ্রাঙ্ক বিদ্বেষ না বাড়াতেই হয়তো সেই চিঠি কিংবা বিশ্বাসঘাতকের পরিচয় প্রকাশ করেননি বলে জানান ভিন্স প্যানকোক। এর আগে নেদারল্যান্ডসের সংবাদপত্র ‘ডি ভোকসক্রান্ট’ এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১৯৫০ সালে ভেন ডেন বার্গের মৃত্যু হয়। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।