গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)’র নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই উত্তর কাফরুলে এক বৃদ্ধার বাড়ির একটি অংশ দখল করে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ওই বৃদ্ধা রাজউকে বার বার অভিযোগ করলেও কোন সুরাহা হচ্ছে না।
আমেনা মোস্তফা (৬৬) নামে এক বিধবা নারী অভিযোগ করেছেন, প্রভাব খাটিয়ে তার জায়গাতে নির্মাণ করা হয়েছে ব্যালকনি। এ বিষয়ে কাফরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। এ বিষয়ে রাজউক জানিয়েছে, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করায় এ পর্যন্ত তিনবার তাদের নোটিশ করা হয়েছে। ভবনের অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত বহাল তবিয়তে রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোস্তফা কামালসহ কয়েক শিক্ষক উত্তর কাফরুল এলাকার ২৩৯/৫ নম্বরে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। পাশেই আমেনা মোস্তফা একটি ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। আমেনা মোস্তফা অভিযোগ করেছেন, নিচ থেকে কিছুটা জায়গা ছেড়ে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণে ফাউন্ডেশন পিলার তোলা হলেও উপরের দিকে এসে আমেনা মোস্তফার ছয়তলা ভবনের ভেতরের দিকে ঢুকিয়ে ব্যালকনি নির্মাণ করা হয়েছে। তার আগে ২৪ ঘণ্টা ডিপটিউবওয়েল পানি সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে পানির ট্যাংকি বসানোর নামে কৌশলে সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে ওই বহুতল ভবনের মালিকরা। অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাতারা তার সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে পানির ট্যাংকি বসানোর কথা বলে ৫ লাখ টাকা লুটে নেন। ওই সময়ে মেয়ের শারীরিক অসুস্থতার কারণে দেশের বাহিরে যান আমেনা। সেই সুযোগে তারা প্রাচীন ভাঙ্গা জায়গাজুড়ে ব্যালকনি নির্মাণ করে। পরে দেশে ফিরে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে, তারা তাকে হুমকি ধমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়ে তিনি সম্প্রতি কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এর আগেই রাজউক অবৈধভাবে অ্যাপার্টিমেন্ট নির্মাণের অভিযোগ এনে তিন দফায় কাজ বন্ধের নোটিশ দেয় ওই শিক্ষক গ্রুপের বিরুদ্ধে। এতে কর্ণপাত না করেই তারা চালিয়ে যায় নির্মাণ কাজ। এরইমধ্যে নয় থেকে ১০ তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ করেছে তারা।
আমেনার ভাতিজা সাহেদ বলেন, আমরা অনেক বার তাদের আপোষে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা কর্নপাত কওে না। উল্টো আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি বলেন, আমরা পর পর তিনবার রাজউকে লিখিত অভিযোগ দেই। পরে রাজউক অবৈধ অংশ ভেঙ্গে ফেলতে তিনটি নোটিশ দেয় তাদের। তাতেও তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না। বৃদ্ধার জায়গা দখলে নিয়ে রাজউকের নিয়ম ভেঙ্গে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করছে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক সার্কেল-৩ মহাখালী জোনের অথরাইজ অফিসার সোহাগ জানান, নিয়ম অনুয়ায়ী আমরা পর পর তিন বার নোটিশ করেছি, যেনো তারা কাজ বন্ধ রাখেন। তারা তা মানছে না। নিয়ম অনুযায়ী খুব শিগগিরই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে নিয়ম বর্হিভূত তৈরি করা অংশ ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাপার্টমেন্ট মালিকদের একজন মোস্তফা কামাল বলেন, জমি দখল বা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করার অভিযোগটি মোটেও সত্য না। নিয়ম নীতি মেনেই তারা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।