বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার ৯ নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ৩১ জানুয়ারি। নির্বাচন উপলক্ষে পাড়া-মহল্লাসহ সর্বত্র চলছে প্রচারণা। বালিয়ায় এই প্রচারণা চলাকালিন আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেলোআর মোজাহীদ সমর্থক ও আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চশমা প্রতীকের প্রার্থী এড. মিজানুর রহমান তালুকদারের সমর্থকদের মাঝে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ১৩/১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে এই সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চশমা প্রতীকের প্রার্থী এড. মিজানুর রহমান তালুকদার তার বাড়িতে ও নির্বাচনি অফিসে হামলার অভিযোগ এনে বলেন, নৌকার প্রার্থীর লোকজন কয়েকদিন যাবৎ আমার চশমার প্রচার কাজে বাঁধা প্রদানসহ লোকজনকে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। তারা নৌকার বৈঠার সাথে দা নিয়ে মহড়া দিয়ে এলাকায় আতংক ছড়াচ্ছে। নৌকা ছাড়া তারা অন্য কাউকে মাঠে থাকতে দিবে না। মঙ্গলবার রাতে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে। সেই সাথে আমার কয়েকটি নির্বাচনি অফিসেও হামলা করেছে এবং আমার সমর্থকদের মারপিট করেছে। এতে আজহারুল, মঞ্জুরুল হক, লিয়ন, আনোয়ার, জহিরুলসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের এমন কর্মকান্ডে এখন আমার জীবণের নিরাপত্তা নেই।
আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেলোআর মোজাহীদ বলেন, আমার নৌকার সমর্থক কিছু লোক মঙ্গলবার রাতে চশমা প্রতীকের প্রার্থীর বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের উপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করে মারপিট করেছে। এতে রবিন (৩০), নজরুল (৩৫), কবির (২৮), সবুজ (১৮), আব্দুর রেজ্জাক (৩২) সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী দেলোআর মোজাহীদের ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান আজহারুল মোজাহীদ সরকার বলেন, সন্ধ্যায় মইশ্যাউন্দা বাজারে নৌকার প্রচারণার সময় চশমার কয়েকজন লোক দা, ছুরি নিয়ে হামলা করতে আসে। পরে তারা দাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে চশমার লোকজন বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জড়ো হয়ে রাতে নৌকার সমর্থকদের পথরোধ করে এবং দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রথমে নৌকা সমর্থকদের বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন মারছিল বলে শুনেছি। পরে তারা বাড়িতে খবর দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে আমরা গিয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।