নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফের মাঠে ফেরার পর থেকেই লড়াইটা চলছিল অস্বস্তির সঙ্গে। ফিটনেস অনুশীলন চালালেও পিঠের ব্যথার কারণে বোলিং অনুশীলনটা ঠিকঠাক করতে পারছিলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। গতকাল সাহস করে বোলিং অনুশীলন শুরু করতেই ফের পুরনো ব্যথায় থামতে হয় তাকে। সাথে এবার হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটও যোগ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সকালে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন করতে আসেন মাশরাফি। খানিকক্ষণ ক্যাচিং অনুশীলন করার পর সেন্টার উইকেটে শুরু করেন বোলিং। ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে বেশ মন্থর গতিতে বেশ কয়েকটি বল করতেও দেখা যায় মাশরাফিকে। শুরুতে ছোট রানআপে বল করেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। রানআপ বড় করে বল করা শুরু করতেই ঘটে বিপত্তি। লম্বা রানআপে বল করতে গিয়ে আর বল করতে পারেননি। পরে পীঠের নিচের দিকে চাপ দিয়ে বসে পড়েন। ফিজিওর সহায়তায় কিছুটা সময় চলে শুশ্রƒষা। পরে আর বল করতে দেখা যায়নি তাকে।
মিনিস্টার ঢাকার ফিজিও এনামুল হক জানালেন, মাশরাফির চোটের ব্যাপারে সতর্ক পথে হাঁটছেন তারা। কোন রকম ঝুঁকি নিয়ে তাকে খেলানোর পক্ষে যাবেন না তারা, ‘হাতে এখনো দুটি দিন আছে। উনার ব্যথা যদি কমে তাহলে ইতিবাচক পথে এগুনো হবে। তবে ব্যথা না কমলে অন্তত প্রথম ম্যাচে তাকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নেওয়া হবে না।’
দীর্ঘদিন ধরে ক্রিকেটের বাইরে মাশরাফি। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন এক বছরেরও বেশি সময় আগে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে খেলেছিলেন তিনি। ঐ টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে সাত উইকেট শিকার করেছিলেন মাশরাফি। ২১ জানুয়ারি বিপিএলের প্রথম দিনেই মাঠে নামবে মাশরাফির ঢাকা। প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মাশরাফিদের প্রতিপক্ষ মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। পরের দিন একই সময়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ আছে ঢাকার।
এদিকে, বরাবরের মতো মিরপুর একাডেমি মাঠেই গতকালও একসঙ্গে চলছিল একাধিক দলের অনুশীলন। ঠিক সেই সময়ই একাধিক ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফের করোনা আক্রান্তের খবর আসে। সবার নাম জানা না গেলেও নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তার মধ্যে সৌম্য আছেন। তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত। বিসিবির চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জানান, প্রথম দফার পরীক্ষাতেই চারজনের কোভিড পজিটিভ এসেছে। করোনার উর্ধ্বগতির কারণে এই সংখ্যা ক্রমশই বাড়তে পারে, ‘আমরা বিপিএল সংশ্লিষ্টদের করোনা পরীক্ষা শুরু করেছি। অনেকেরই পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে খেলোয়াড় ও সাপোর্টিং স্টাফ কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। তাদের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি।’
গতকাল রাত থেকেই সব দলের সদস্যদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার পর জৈব সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করার কথা। সেই পরীক্ষার ফল নিয়ে থাকছে শঙ্কা। হুহু করে বাড়তে থাকা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা শেষ পর্যন্ত চিন্তার কারণ হয় কিনা, সেটিই এখন দেখার। কেননা দেশের করোনা পরিস্থিতিও ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। আগের দিনের মতো গতকালও মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, আক্রান্ত ৮ হাজার ৪০৭ জন!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।