Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মির্জাপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় ভবন ধস

ম্যাজিস্ট্রেট আহত, মালিক গ্রেপ্তার

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২২, ৭:৩৩ পিএম

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অবৈধ ভবন উচ্ছেদের সময় ভবন ধসে এক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের সাটিয়াচড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল লতিফ খান টাঙ্গাইলের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি পায়ে ব্যথা পেয়েছেন। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে বাঁধা দিতে গেলে ভবনের মালিক শাহ মো. শাজাহানকে পুলিশ তাঁকে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে আটক করে। গত দুই দিন ধরে এই অভিযান শুরু হয়।

সওজ সূত্র মতে, মহাসড়ক চারলেনে উন্নতিকরণের আওতায় রাস্তার পাশের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় প্রায় চার বছর আগে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেন করতে সরকার বিভিন্ন স্থানে অধিগ্রহণ শুরু করে। সুযোগ বুঝে ওই এলাকায় পার্শ্ববর্তী গোড়ানা গ্রামের শুকার মাহমুদের ছেলে শাহ মো. শাজাহান নামে এক ব্যাক্তি একটি তিনতলা ও একটি দুইতলা ভবন করেন। ওই ভবন দুইটির মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনতলা ভবন উচ্ছেদে অভিযান করে সওজ। এ সময় ভবন ভাঙার জন্য এক্সাভেটর লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে তা মুহুর্তের মধ্যে ধসে পড়ে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুল লতিফ খান। তাঁর পায়ের উপর কংক্রিটের বড় টুকরো পড়লে তিনি আহত হন। এ সময় ভবনটির ছাদ পাশেই থাকা পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনের খুঁটির উপর পড়লে তা হেলে পড়ে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের তার ছিড়ে যায়। এতে আশেপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।

সরেজমিনে গেলে শাহ মো. শাজাহানের মেয়ে শামীমা আক্তার ও ছেলে শাহ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তাঁদের বাবা নিজেদের জায়গায় ভবন করেছেন। সরকার থেকে বলা হচ্ছে জায়গাগুলো অধিগ্রহণ করা। কিন্তু তাঁরা অধিগ্রহণের কোন টাকা তুলেননি। ভবনটি উচ্ছেদের জন্য তাঁদের কোন চিঠিও দেয়া হয়নি।

মুঠোফোনে আব্দুল লতিফ খান বলেন, ‘ ব্যাক্তি শাজাহান ফল্্স বিল্ডিং করে রেখেছে তা আমাদের জানা ছিলো না। আমাদের কর্মীরা যখন উচ্ছেদ করতে গেল তখন তা ঝুর ঝুর করে ধসে পড়ে গেলো। আল্লাহর রহমতে অন্য কারও কিছু হয় নাই। বিল্ডিং দুইটির মধ্যে একটি আগের একোয়ার করা জায়গায়। আর তিনতলাটি নতুন ভাবে একোয়ার করার জায়গায় তুলা হয়েছে। ভবনটি দুইটি আমাদের রোডস্ এর জায়গায় করা।’

মির্জাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গিয়াস উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় সওজ এর উপসহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টাঙ্গাইল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ