Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টেক্সাসের ঘটনায় ফের আলোচনায় আফিয়া সিদ্দিকী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:২৬ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ইহুদি উপাসনালয় সিনাগগে গত শনিবার কয়েকজনকে জিম্মি করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত হন অপহরণকারী ফয়সাল আকরাম (৪৪)। প্রায় ১০ ঘণ্টা দমবন্ধ উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছিলেন সিনাগগে থাকা চারজন মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যের ওই উপাসনালয় থেকে অবশেষে মুক্ত করা হয়েছে তাদের। নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানের মধ্য দিয়ে অবসান হয় তাদের জিম্মি সংকটের। নিহত হয়েছে বন্দুকধারী। কিন্তু বিভিন্ন মিডিয়ায় ইতোমধ্যে প্রচার হয়ে গেছে জিম্মিকারী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারে বন্দি পাকিস্তানি নাগরিক আফিয়া সিদ্দিকীর ভাই।
কথা রটেছে, বোনকে মুক্তির দাবিতেই এই চারজনকে জিম্মি করেছিলেন হামলাকারী। জিম্মিদের উদ্ধার অভিযানে হামলাকারীর পরিচয় নিশ্চিত হলেও তা প্রকাশ করতে নারাজ এফবিআই। আর এ কারণেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে, আসলেই কি লোকটি আফিয়া সিদ্দিকীর ভাই? আলজাজিরা, এপি, এনবিসি নিউজ।
শনিবার মার্কিন সাংবাদিকরা জানান, তারা ঘটনাস্থলে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। এর কিছুক্ষণ পর টুইট বার্তায় টেক্সাস গভর্নর গ্রেগ জানিয়েছেন, সংকটের অবসান ঘটেছে। সব জিম্মি জীবিত এবং অক্ষত রয়েছেন।
দীর্ঘ জিম্মি সংকট বিষয়ে টেক্সাসের কোলিভিল শহরের পুলিশ প্রধান মিশেল মিলারও নিশ্চিত করেছেন, বন্দুকধারী মারা গেছেন। কিন্তু তার মৃত্যু কীভাবে হল, আত্মহত্যায় নাকি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে, তা নিশ্চিত করেননি তিনি।
উল্লেখ্য, আফিয়া সিদ্দিকী একজন পাকিস্তানি বিজ্ঞানী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্রান্ডিস ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেছেন। আল কায়েদার অপারেটিভ হিসেবে অভিযুক্ত হয়ে তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন। ম্যানহাটনের এক আদালত ২০১০ সালে তাকে অভিযুক্ত করে ৮৬ বছরের সাজা দেয়। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে জেলে বন্দী রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সেনা কর্মকর্তাদের গুলি করা হোক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আফিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা গুরুতর। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ অভিযোগ মারাত্মক। কিন্তু তার সমর্থকেরা তাকে নিরপরাধ বলে মনে করে। তারা মনে করে, টুইন টাওয়ার হামলার পর আফিয়া সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে বিচার ব্যবস্থা অতি উৎসাহী হয়ে কাজ করেছে।
নিউইয়র্কে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আলোচিত টুইন টাওয়ার হামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের নজরে পড়েন আফিয়া। ২০০৪ সালের মে মাসে এফবিআই এবং বিচার বিভাগ তাকে আল কায়েদার একজন অপারেটিভ এবং মদদদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করে। ২০০৮ সালে আফিয়াকে আটক করে আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে মার্কিন নাগরিকদের হত্যা চেষ্টার অভিযোগে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। শাস্তি ঘোষণার শুনানিতে বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার বাণী দেন আফিয়া এবং তিনি বিচারকদের ক্ষমা করার ঘোষণা দেন। তার আইনজীবীরা বিচারকের কাছে অনুরোধ জানান, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে লঘু শাস্তি দেওয়া হোক। তবে আফিয়া সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি মানসিক ভারসাম্যহীন নই। ওই বক্তব্যের সঙ্গে আমি একমত নই।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ