Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী বিরজু মহারাজের মৃত্যু

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০২২, ১১:৪৯ এএম | আপডেট : ১১:৫৫ এএম, ১৭ জানুয়ারি, ২০২২

কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ মারা গেছেন। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দিল্লিতে মৃত্যু হয় কত্থক নাচের এই সাধকের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ। এমনকি কিডনি ডায়ালাইসিসও করা হয়েছিল।

বিরজু মহারাজের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোববার রাতে দিল্লির বাড়িতে নাতির সঙ্গে খেলছিলেন তিনি। সেই সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত দিল্লির সাকেত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বেশ কিছুদিন ধরেই কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন পণ্ডিত বিরজু মহারাজ।

লখনৌয়ের বিখ্যাত ‘মহারাজা’ ঘরানায় জন্ম বিরজু মহারাজের। কত্থক নৃত্যের জগতে তার পরিবারের সুনাম বহু দিনের। বাবা অচ্চন মহারাজের কাছেই প্রথম তালিম শুরু বিরজু মহারাজের। পরে কাকা লচ্ছু মহারাজ ও শম্ভু মহারাজের কাছে নাচ শেখেন। শুধু নাচ নয় কণ্ঠসংগীতেও পারদর্শী ছিলেন বিরজু মহারাজ। ভালো তবলাও বাজাতেন।

মাত্র নয় বছর বয়সে বাবাকে হারান বিরজু মহারাজ। নাচকেই নিজের জীবনের লক্ষ্য করে নেন। কলকাতার সঙ্গে নিবিড় যোগ ছিল তার। এই শহরেই নাকি প্রথম দর্শকদের সামনে পারফর্ম করেছিলেন। ১৩ বছর বয়স থেকেই নাচের তালিম দিতে শুরু করেন বিরজু মহারাজ। সেই বয়সেই দিল্লির সংগীত ভারতীতে শেখাতেন তিনি। পরে দিল্লির ভারতীয় কলা কেন্দ্র এবং কত্থক কেন্দ্রতেও শেখাতে শুরু করেন। পরবর্তীকালে নিজের স্কুল ‘কলাশ্রম’ খুলেছিলেন বিরজু মহারাজ।

১৯৮৩ সালে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মবিভূষণ পান বিরজু মহারাজ। পেয়েছেন কালীদাস সম্মানও। এই কত্থক গুরু বেশ কিছু ছবিতে কোরিওগ্রাফির দায়িত্বভার সামলেছেন। কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়ে ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবিতে। নতুন শতাব্দীতে ‘দেবদাস’, ‘বাজিরাও মস্তানি’-র মতো ছবিতে বিরজু মহারাজের কোরিওগ্রাফি মুগ্ধ করেছে অপামর ভারতীয়কে। ‘বিশ্বরূপম’ ছবিতে কোরিওগ্রাফির জন্য চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন বিরজু মহারাজ।

পণ্ডিত বিরজু মহারাজ একজন দক্ষ গল্পকার। তার অভিব্যক্তি থেকে চোখ ফেরানো ছিল দায়। জীবনের ঘটনার সঙ্গে তিনি মিশিয়ে দিতেন নাচ। এইভাবেই কত্থক নৃত্যে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছিলেন তিনি, সেখানেই অনন্য বিরজু মহারাজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিরজু মহারাজ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ