Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ

প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম, বায়রা, সায়েস্তা, চান্দহর, তালেবপুর, বলধর, ধল্লা ও জয়মন্টুপের প্রধান সড়কে সরকারি, বে-সরকারি ও বিভিন্ন এনজিওর রোপণকৃত ফজল ও বনজ গাছগুলো অজ্ঞাত রোগে মরে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। মাইলের পর মাইল সড়কের দু’ধারে গাছগুলো দীর্ঘদিন যাবত মরে দাঁড়িয়ে থাকলেও এ যেন দেখার কেউ নেই। অথচ ঐসব গাছের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে পল্লী বিদ্যুতের ৩৩ হাজার ভোল্টেজের তারগুলো। যে কোনো মুহূর্তে ঝড় বৃষ্টিতে গাছগুলো ভেঙে বৈদ্যুতিক তারের উপর পরে ঘটতে পারে প্রাণ হানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা। অন্যদিকে, গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ ঘরবাড়ি টিনের বেড়া ও চালে টিন থাকায় বেশি আশংকা করছে এলাকাবাসী। সম্প্রতি সায়েস্তা ইউনিয়নের বলাকা স্টান্ডের আলাউদ্দিনের মুদি দোকানের পাশে মরা গাছ পরে বিদ্যুতের খুঁটিসহ ভেঙে যায়। এ উপজেলাটি ৮২.৪৮বর্গ মাইলের মধ্যে কয়েক লাখ ফলজ ও বনজ গাছ রোপণ করেন স্থানীয় এলজিইডি সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায়। অনেক সময় দেখা যায় এসব গাছ রাতের আঁধারে অনেকে কেটে নিয়ে যায়। অযতœ-অবহেলায় গাছগুলো পড়ে থাকায় সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তবে মরে যাওয়া গাছগুলোর মধ্যে শিশু গাছই বেশি বলে জানা গেছে। কারণ শিশু গাছের শিকড় বেশি মাটির নিচে যেতে পারে না বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়। এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ এ গাছগুলো দ্রুত অপসারণ করতে সরকারের উপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মরা গাছ এখন মরণ ফাঁদ

৩১ অক্টোবর, ২০১৬
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ