গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাঈদা গাফফার (৭১) হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার ও যথাযথ শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিষদ। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।
এতে তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাঈদা গাফফার গাজীপুর মহানগরের পানিশাইল এলাকায় ঢাবির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন। তিনি নির্মাণকাজ দেখাশোনার জন্য আবাসন এলাকার পাশেই একটি ভবনে ভাড়া থাকতেন। গত ১১ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ে সাদিয়া আফরিন মায়ের মেসেঞ্জারে মেসেজ দেন। কিন্তু মেসেজ সিন না হওয়ায় ১২ জানুয়ারি সকালে ফোন দেন। কিন্তু ফোন ধরেননি তার মা। ওই দিনই অধ্যাপক সাঈদা গাফফারের স্বজনদের ফোন দিয়ে আনারুল ইসলাম জানান, তাকে (সাইদা) পাওয়া যাচ্ছে না, ফোনও বন্ধ।
নিহত অধ্যাপকের ভাই নজরুল নামের এক শ্রমিককে বাসায় পাঠালে তিনি গিয়ে দেখেন, বাসার গেট খোলা, আলমারিতে চাবি ঝুলছে। সাঈদা গাফফারকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে না পেয়ে মেয়ে সাদিয়া আফরিন ১২ জানুয়ারি রাত সোয়া নয়টার দিকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৩ জানুয়ারি রাতে আনারুল ইসলামকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ জানুয়ারি সকালে পানিশাইল পলাশ হাউজিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের ভেতরে চলাচলের রাস্তার পাশে জঙ্গল থেকে সাঈদা গাফফারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। প্রতিনিয়ত নারী ও কন্যাশিশু হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকরা নৃশংস নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। ফলে নাগরিকদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে এবং স্বাধীন জীবন ও চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। যা দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এরূপ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ নারীসহ দেশের নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাঈদা গাফফার হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন পূর্বক পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও অনুরোধ জানাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।