মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিড-১৯ মহামারিতে এশিয়ার ১৪০ মিলিয়ন বা ১৪ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়ে দারিদ্র্যের মুখোমুখি হলেও নতুন করে আরো ২০ জন বিলিয়নিয়ার তৈরি হয়েছে। এমন তথ্যই উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামের গবেষণায়।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি মোকাবেলায় ফার্মাসিউটিক্যালস ও চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রির মাধ্যমে ২০২১ সালের মার্চ নাগাদ এশিয়া অঞ্চলে নতুন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন ২০ জন। অথচ অন্যদিকে, লকডাউন ও অর্থনৈতিক স্থবিরতায় নতুন করে দারিদ্র্যের সম্মুখীন হয়েছেন কয়েক কোটি মানুষ।
চীন, হংকং, ভারত ও জাপানের নতুন এই বিলিয়নিয়ারদের মধ্যে রয়েছেন ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (পিপিই) উৎপাদনকারী উইনার মেডিকেলের মালিক লি জিয়ানকুয়ান। আরও আছেন চীনের সানসুর বায়োটেকের মালিক ডাই লিঝং। সানসুর বায়োটেক কোভিড-১৯ শনাক্তের ডায়াগনস্টিক কিট উৎপাদন করে থাকে।
২০২০ সালের মার্চ থেকে গেল বছর নভেম্বর পর্যন্ত এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ধনীদের সংখ্যা ৮০৩ থেকে বেড়ে হয়েছে ১,০৮৭। অর্থাৎ, দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ধনীদের সংখ্যা প্রায় এক তৃতীয়াংশ বেড়েছে। আর গড় হিসেবে তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৭৪ শতাংশ বা তিন-চর্তুথাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তি, সবচেয়ে দরিদ্র ৯০ শতাংশ ব্যক্তির মোট সম্পদের চেয়ে বেশি সম্পদের মালিক।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার মতে, ২০২০ সালে আনুমানিক ৮১ মিলিয়ন চাকরি হারিয়ে গেছে এবং কর্ম ঘণ্টা হ্রাস আরও ২২ থেকে ২৫ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্রের দিকে ঠেলে দিয়েছে। অন্যদিকে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ১.৪৬ ট্রিলিয়ন ডলার, যা এ অঞ্চলে চাকরি হারানো প্রত্যেককে ১০ হাজার ডলার বেতন দিতে যথেষ্ট।
কোভিড আক্রন্ত হয়ে শুধু এশিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখের বেশি মানুষের। সংস্থাটি বলছে, মৃত্যু ও দারিদ্র্যের এই সংখ্যা আগামীতে আরও বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারি পরিস্থিতিতে নারীকর্মীদের চাকরি হারানো বা আয় বন্ধের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
ধনী-গরিবের এই ব্যবধান আরও বাড়তে চলেছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। ক্রেডিট সুইসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও ৪২ হাজার ব্যক্তি নতুন করে অন্তত ৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক হবেন এবং আরও ৯৯ হাজার ব্যক্তি হবেন বিলিয়নিয়ার। ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে কোটিপতির সংখ্যা দাঁড়াবে ১৫.৩ মিলিয়নে, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি।
এছাড়া বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ উভয়ই জানিয়েছে, করোনভাইরাস মহামারি বিশ্বব্যাপী এই অর্থনৈতিক বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।