বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হত্যার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন ১ জনকে ফাঁসি ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। এছাড়া একই মামলার ৩ জন আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়। গত বৃহস্পতিবার এ রায় প্রদান করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন জানান, মামলায় ফাঁসির আদেশ প্রাপ্ত আসামি কক্সবাজার সদর উপজেলার চান্দের পাড়ার কালু মাঝির পুত্র আবদুল খালেক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মোহাম্মদ কাজল, আমির হামজা, সলিম উল্লাহ ও আবদুল গাফফার। এছাড়াও বেকসুর খালাস পেয়েছেন- আবদুল জলিল, আশফাকুর রহমান মিল্কী, ওবায়দুল হক। দণ্ডপ্রাপ্ত ৫ জনের প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান এবং অনাদায়ে আরো অতিরিক্ত ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ হলো, ২০০২ সালের ২৯ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার লারপাড়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ক্যাফে হায়দার হোটেলের নিকটে জনৈক শাহাবুদ্দিনের একটি গাড়ি আসামিরা ভিন্ন চাবি ব্যবহার করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শাহাবুদ্দিনের বড় ভাই আক্তার উদ্দিন তাতে বাঁধা দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ড হয়। পরে এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে আসামিরা আক্তার উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় উখিয়ার রত্নাপালং এর জমির উদ্দিনের পুত্র আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন জানান, ২০০৩ সালের ৩ জুন মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। মামলার চার্জশীট ভুক্ত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে আইও, চিকিৎসকসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, জেরা, আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থন, যুক্তিতর্কসহ সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।