গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ২০২৩ সালে পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাতিলের প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে। শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা সময়ের অনিবার্য দাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষের মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে অনেকেই। বিশেষ করে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা না থাকায় তরুণ প্রজন্ম বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তিনি বলেন, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত মাদরাসা ও স্কুলের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে। সেই সাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে।
আজ বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত নগর শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মু. হুমায়ূন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, মুফতী মহিউদ্দিন আকবার আলী, প্রভাষক ইসমাঈল ও মু. আবু সাঈদ। সম্মেলন মুফতী মহিউদ্দিন আকবার আলীকে সভাপতি, ড. মাসুম বিল্লাহকে সিনিয়র সহ-সভাপতি, প্রভাষক ইসমাঈলকে সহ-সভাপতি এবং মু. আবু সাঈদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কমিটি গঠন করা হয়। অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণকরতে হবে। পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা বহাল রাখতে হবে। একই সিলেবাসে শিক্ষার্থী পড়িয়ে বেসরকারি শিক্ষকরা বেতন-ভাতাসহ নানা বৈষম্যের শিকার। অন্যদিকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদেরকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। মাদরাসার স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন এখনও প্রদান করা হয়নি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়নি। মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, শিক্ষাখাতে দুর্নীতি ও বৈষম্যরোধে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের মাধ্যমেই সরকারকে এর আশু সমাধান করতে হবে। ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান বলেন, এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত মাদরাসা ও স্কুলের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য দূরীকরণে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে। সেইসাথে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিবন্ধিত শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।