বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের শর্ত বিষয়টি শিথিল করায়, তারা টিকা নিতে ভিড় করছেন কেন্দ্রগুলোতে । কিন্তু টিকা নিতে এসে ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন মেয়ে শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে টিকা নিতে এসে একাধিক মেয়ে শিক্ষার্থী ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন । কয়েকজন টিকা না নিয়েই ফিরেও গেছে বলে জানা গেছে। টিকা কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, চলতি মাসের মধ্যে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা টিকা না নেয়া পর্যন্ত স্কুল-কলেজে তারা ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সরকারের এমন ঘোষণা আসার পর থেকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে জেলা সদরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের জন্মনিবন্ধনের সনদপত্র দেখিয়ে টিকা নিচ্ছেন। টিকা কেন্দ্রে ছেলেদের জন্য আলাদা বুথ এবং মেয়েদের জন্য আলাদা বুথ রয়েছে। এরপর মেয়েদের বুথের সামনে মেয়ের লাইনের আশপাশে হাসপাতালের ৩টি প্রবেশ পথের দুটি প্রবেশ পথে ছেলে শিক্ষার্থীরা দলবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মেয়েদের নানান কটুক্তি করছে। অনেকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মেয়েদের প্রপোজ করছে শিষ দিচ্ছে।
এতে মেয়ে শিক্ষার্থীরা বিরক্ত হয়ে অনেকে টিকা না নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে। কুড়িগ্রাম মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেছে : ১০ টার সময় এসেছি টিকা নিতে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আছি খারাপ লাগছে।এরপর আবার ছেলেরা বাজে বাজে কথা বলছে। তাই টিকা না নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি। কুড়িগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেছে,:আমরা বান্ধবীরা টিকা নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছি অনেকক্ষণ। ছেলেরা আমাদের নানাভাবে বিরক্ত করছে। বেগম নুরনাহার স্কুলের ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী টিকা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় হাসপাতাল বখাটেদের ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন ছেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা কার্ড দেখিয়ে বলে আমাদের টিকা নেয়া শেষ। বান্ধবীদের সাথে একসঙ্গে বাড়ি যাবো । হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ারুল করীম বলেন, আমরা হাসপাতালের পুলিশবক্সের দায়িত্বে রয়েছি।
টিকার কেন্দ্রে আমাদের দায়িত্ব নেই। তারপরও বিষয়টি দেখছি। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. পুলক কুমার বলেন, আমরা টিকার বিষয়টি দেখছি না,এটা জেলা সিভিল সার্জন ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স দেখে। জেলার নব-নিযুক্ত সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মনজুর এ-মুর্শেদ বলেন, গতকাল আমি জয়েন করেছি,বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো যাতে আগামীকাল থেকে এমনটা না ঘটে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।