মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘আমার চিত্র সাংবাদিক বন্ধুকে বলব, এই বিশেষ জায়গাটা একবার দর্শকদের ভাল করে দেখাতে…’ – টেলিভিশনে খবর করতে গিয়ে সাংবাদিকের কাজের মাঝে এমন কথাবার্তা তো বহু পরিচিত হয়ে গিয়েছে আজকাল। ‘গ্রাউন্ড জিরো’ বা সরাসরি ঘটনাস্থল থেকে কোনও খবর তুলে ধরার ক্ষেত্রের সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকদের কাজের ধরন খানিকটা এমনই। বিশেষত ‘লাইভ’ সম্প্রচারের ক্ষেত্রে।
তবে যা দেখলে আপনি চমকে যাবেনই, সেটা হল ঠিক এই একই ঢঙে এক খুদে কন্যার ‘রিপোর্টিং’। হ্যাঁ, মাত্র ৫ বছরের কাশ্মীরি কন্যা হাফিজা এই বয়সেই সংবাদ জগতের এই ভাষা দারুণ আয়ত্ত করে ফেলেছে! বাড়ির সামনের ভাঙাচোরা রাস্তায় ঘুরে সে যেভাবে গোটা ছবিটা তুলে ধরল, তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মুহূর্তে ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় পাতায় ছড়িয়ে পড়ছে তার রিপোর্টিং। সঙ্গে ঢালাও প্রশংসা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, লাল জ্যাকেট, সাদা ফুলছাপ ট্রাউজার পরিহিত ফুটফুটে এক মেয়ে। রেশমের মতো চুল ঝুঁটি করে বাঁধা। হাতে আবার ল্যাপেল! সে কেবল বাড়ির সামনের ভাঙাচোরা, পানি-কাদায় ভরা রাস্তা নিয়ে অভিযোগের ঝাঁপি সাজিয়ে বসেছে। ২ মিনিটের ভিডিওটিতে মেয়েটিকে হিন্দি ভাষায় বলতে শোনা গেল, ‘রাস্তা এতই নোংরা হয়ে রয়েছে যে অতিথিও এই পথে আসতে পারবে না।’ সেইসঙ্গে শিশু কন্যার খেদ – কেন যে কেউ রাস্তা পরিষ্কার করে না। তার বাড়িতে কেউ তো আসতেই পারবে না!
এই খুদে সাংবাদিকের খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছে, নাম তার হাফিজা। বাবা বিলাল আহমেদ খান আর মা শায়েস্তা হিলাল। পাঁচে পা দেওয়ার সদ্যই হাফিজা ভর্তি হয়েছে স্কুলে। কয়েকদিন গিয়েছে কি যায়নি, অন্যান্য দিক থেকে বেশ চোস্ত। বিশেষত কথাবার্তা বলায় হাফিজার তুলনা হয় না। শুধু কি তাই? এই বয়সেই হাফিজা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর ব্যবহার বেশ ভাল বুঝতে শিখে গিয়েছে। তাই তো সে যখন বাড়ির সামনের রাস্তায় ঘুরে ‘রিপোর্টিং’ করছিল, তখন মাকে বলেছিল মোবাইলে ভিডিও করতে। এই ২ মিনিটের ভিডিও আজ ভাইরাল, তার নেপথ্যে কিন্তু হাফিজার মা শায়েস্তা হিলাল। তিনি জানাচ্ছেন, ‘মেয়ের কথাতেই আমি মোবাইল ক্যামেরায় শুট করলাম। ও আমাকে বলে দিচ্ছিল, কখন কীভাবে কোন জায়গায় ক্যামেরাটা নিয়ে যেতে হবে। আমি শুধু ওর কথা শুনে সব করেছি।’
ভাবা যায়? এত কাণ্ড যে করছে, তার বয়স মাত্র ৫। নেটিজেনরা তো হাফিজার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। কেউ কেউ বলছেন, বড় হলে সাংবাদিক হিসেবে নিজের কেরিয়ার দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে খুদে কাশ্মীরি কন্যা। কিন্তু মেয়ের শখ কী? নাহ, তার মুখে কথা নেই, হাসিমুখে শুধু খুশির ঝিলিক। ঠিক যেন বরফঢাকা উপত্যকায় সূর্যের ছটা! সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।