Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এই শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি: তাপস

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০২২, ৬:৩৫ পিএম

পিপিপি প্রকল্পসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্পনির্ভর কার্যক্রম পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলায় বাধা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, আমরা অপরিকল্পিত এই শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। পরিকল্পিত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু অযাচিতভাবে, অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বিভিন্ন সংস্থা এখনো আগ্রাসন করে যাচ্ছে। বিআইডব্লিটিএ বলেন কিংবা পিপিপি প্রকল্পের নামে ঢাকা শহরে বিভিন্ন সংস্থা প্রকল্পনির্ভর কাজ করে আমাদের এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত করছে।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর গুদারাঘাটের ত্রিমোহনী ব্রিজ সংলগ্ন জিরানী খালের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ফজলে নূর তাপস। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

খাল হতে বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রমের সুফল গত বছর ঢাকাবাসী পেয়েছে উল্লেখ করে তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে গত বছর থেকে আমরা খালগুলো হতে বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। এ বছরও যথারীতি আমরা সময়মতো শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এ বছরও জিরানী খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। সেটাই আমি আজকে পরিদর্শনে এসেছি। গত বছর এই কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী পেয়েছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, চার মাস বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও শুধু প্রথমদিকে কিছু জলাবদ্ধতা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই সেই জলাবদ্ধতা নিরসন করতে সক্ষম হয়েছি।

গত বছর কোথায় কোথায় জলাবদ্ধতা হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে অবকাঠামো উন্নয়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে পোস্তগোলায় আমরা ৬ ফুট ব্যাসার্ধের পাইপ বসিয়েছি। সেটা হয়ে গেলে পোস্তগোলা, জুরাইন কবরস্থান পর্যন্ত পুরো এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে এসব অবকাঠামো উন্নয়ন করা হচ্ছে। সুতরাং ধীরে ধীরে অবশ্যই ঢাকাবাসী এর সুফল পাওয়া আরম্ভ করেছে। তবে খাল নিয়ে আমরা যে প্রকল্পটা নিয়েছিলাম, সেটা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা আবারও মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য আমরা কাজ করছি।

দখলমুক্ত করা খাল আবারও দখল হচ্ছে জানিয়ে মেয়র শেখ তাপস বলেন, আজকে আমরা এসে দেখলাম যে, আবারও দখল হচ্ছে। এই দখল, আগ্রাসন থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমি অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে দেখলাম, আবারও (জিরানী খালের উপর) কয়েকটা সেতু করা হয়েছে, দেয়াল করা হয়েছে। খালের জমির ওপরে এগুলো করা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন, পানির ওপরেই আবার দোকান করা হয়েছে। এগুলো আমরা আবারও অপসারণ করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ