পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তৈরি পোশাক রফতানিতে রেকর্ডের সর্বশেষ দৃষ্টান্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। এই প্রথমবারের মতো এক বছরে তৈরি পোশাক রফতানি খাতে আয় ৬০০ কোটি ডলার ছাড়াল। সদ্য বিদায়ী ২০২১ সালের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি-নভেম্বর) ৬৩৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে, যা দেশীয় মুদ্রায় ৫৪ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) সম্প্রতি এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। বিদায়ী বছরের এক মাসের হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। সেই হিসাবে বলা যায়, ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানি ৭০০ কোটি ডলারের কাছাকাছি চলে যাবে।
অটেক্সার তথ্য-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৯৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছিল ২০১৯ সালে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয় ২০১৮ ও ২০১৫ সালে। যদিও গত এক দশকে বাজারটিতে রফতানি খুব বেশি বাড়েনি। যেমন ২০১১ সালে ৪৫১ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে উত্থান-পতন দেখা যায়। ২০২০ সালে এই বাজারে রফতানি দাঁড়ায় ৫২৩ কোটি ডলার।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে সর্বোচ্চ পরিমাণে তৈরি পোশাক রফতানিতে একাধিক রেকর্ড হয়েছে। অর্থবছরের তৃতীয় মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি মাসে ৪০০ কোটি ডলারের বেশি পণ্য রফতানি হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় গত মাসে ৪৯০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির রেকর্ড হয়েছে। কোনো এক মাসে এই পরিমাণ রফতানি আগে কখনোই হয়নি। এর আগে গত অক্টোবরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭২ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশি পোশাকের বড় বাজার। তবে ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বাজারটিতে রফতানি কমে যায়। তবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালে অবস্থার পরিবর্তন হতে শুরু করে। ইতিমধ্যে কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নেও ব্যাপক অগ্রগতি হয় বাংলাদেশের। বদৌলতে ২০১৯ সালে ৫৯৩ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়। পরের বছরও শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত করোনার থাবায় রফতানি নিম্নমুখী হতে থাকে।
অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, বিদায়ী বছরের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৭ হাজার ৪২৯ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছেন। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
মোটা দাগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা সামগ্রিকভাবে পোশাক আমদানি যে হারে বাড়িয়েছেন, সেটি ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের রফতানি। কারণ, বিদায়ী বছরের প্রথম ১১ মাসে দেশটিতে ৬৩৬ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। এই রফতানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। অবশ্য ভালো প্রবৃদ্ধির পরও বাংলাদেশ এই বাজারে তৃতীয় অবস্থানেই রয়েছে। চীন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ভিয়েতনামও তাদের রফতানি ধরে রেখেছে।
করোনার নতুন ধরন অমিক্রন যদি বড় সমস্যা তৈরি না করে, তাহলে সামনের মাসগুলোতেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভালো রফতানি হবে। কারণ, আগামী জুন পর্যন্ত কারখানাগুলোতে প্রচুর ক্রয়াদেশ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ হচ্ছে চীন। আলোচ্য ১১ মাসে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৭৯০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে। রফতানিতে তাদের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ শতাংশ। আর দ্বিতীয় শীর্ষ রফতানিকারক ভিয়েতনাম রফতানি করেছে ১ হাজার ৩২০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক। তাদের ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।