মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কোভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রাক-মহামারি পর্যায়কে ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি। তুমুল ভোক্তা চাহিদায় দেশটিতে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে মূল্যস্ফীতির হার। এ অবস্থায় মুদ্রানীতি কঠোর করার পরিকল্পনা করছে ইউএস ফেডারেল রিজার্ভ। প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত এ পদক্ষেপ বৈশ্বিক আর্থিক বাজারকে বিপর্যস্ত এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন সৃষ্টি করতে পারে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় উদীয়মান অর্থনীতিগুলোকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সোমবার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি বøগে আইএমএফ জানিয়েছে, কভিডের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ও মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানোর পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিয়ে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোয় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা ও ফেডের সম্পদ কেনা ত্বরান্বিত করার সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে উদীয়মান বাজারগুলোকে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও উচ্চতর পাবলিক ঋণের মুখে ফেলেছে। বøগটির সহলেখক ও আইএমএফের কৌশল, নীতি ও পর্যালোচনা বিভাগের ম্যাক্রো নীতির বিভাগীয় প্রধান স্টেফান ড্যানিংগার বলেন, উদীয়মান বাজারগুলোয় মোট সরকারি ঋণ ২০১৯ সাল থেকে প্রায় ১০ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। ২০২১ সালের শেষ নাগাদ এ ঋণের অনুপাত মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে। যদিও দেশভেদে এ অনুপাতে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে উদীয়মান দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও শ্রমবাজার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। অনেক দেশের জন্যই ডলারে ঋণের খরচ কিছুটা কম হয়। তবে দেশীয় মূল্যস্ফীতি ও স্থিতিশীল বিদেশী তহবিল নিয়ে উদ্বেগ গত বছর ব্রাজিল, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কয়েকটি উদীয়মান বাজারকে সুদের হার বাড়ানোর শুরু করতে প্ররোচিত করেছিল। কোভিড জনিত কারণে ২০২০ সালে ১৯৩০-এর দশকের পর থেকে গভীরতম মন্দায় পড়েছিল বিশ্ব অর্থনীতি। গত বছর বিশ্বজুড়ে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো ২৫ লাখ কোটি ডলারের আর্থিক ও মুদ্রানীতি সহায়তা দিয়েছে। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দুর্বল গতিবেগ, কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব, টিকাদান কার্যক্রমে অসমতা, সরবরাহ চেইনে প্রতিবন্ধকতা ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির কারণে গত বছরের অক্টোবরে আইএমএফ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে। বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি ২০২১ সালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ করেছে। আইএমএফ ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।