Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুখোশ উন্মোচন হওয়ার আগে পদত্যাগ করুন

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আস্তে আস্তে বাংলাদেশের মানুষ তো জানে। এখন পৃথিবীর মানুষের কাছেও এই সরকারের আসল চেহারা খুলতে শুরু করেছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলবো, আপনার সরকারের সম্পূর্ণ মুখোশ উন্মোচনের আগে পদত্যাগ করুন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দিন। সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে মুক্তি দিন। তানা হলে সব কিছু উন্মোচন হয়ে যাবে। উন্মোচন তো হচ্ছেই, যখন সম্পূর্ণ উন্মোচন হবে আর পালিয়েও নিজের মুখ ঢাকতে পারবেন না। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্পের নামে সরকার বিদেশে অর্থ পাঁচার করছে। দেশে মাদক প্রবেশ করছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণের চোখকে ধুলা দেয়ার জন্য, দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরানোর জন্য তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তামাশা করছেন। প্রেসিডেন্টকে দিয়ে তিনি আবার সংলাপ দেখাচ্ছেন। সংলাপের নামে প্রেসিডেন্ট হকারগিরি করছেন।
তিনি বলেন, আল্টিমেটলি যে নির্বাচন কমিশন বানানো হবে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ইচ্ছারই প্রতিফলন ঘটবে। তার আগে একটা তামাশা করে যাচ্ছেন। কারণ প্রত্যেকটার পেছনে এই সরকার তার ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার, চিরদিন টিকে থাকার জন্য যা কিছু করা দরকার তিনি সেটা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আপিল বিভাগে চারজন নতুন বিচারক নিয়োগের প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সর্বোচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগেও ‘সিনিয়রিটি ’ লঙ্ঘন করা হয়েছে। কারণ তাদের (সরকার) বিশ্বস্ত লোক অ্যাপিলেট ডিভিশনে দরকার। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এই কারণে এই ধরনের আদালতে এই ধরনের বেআইনি কাজ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চললে রুহুল আমিন গাজী অবশ্যই মুক্তি পেতেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) যৌথ উদ্যোগে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তির দাবিতে এই মানবন্ধন হয়। ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীকে গ্রেফাতার করে পুলিশ।
বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমের সঞ্চালনায় মানবন্ধনে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বাকের হোসাইন, মোদাবের হোসেন, খায়রুল বাশার, শাহিন হাসনাত, বাছির জামাল, রাশেদুল হক, পেশাজীবী নেতা ডা. মাজহারুল আলম, রুহুল আমিন গাজীর ছেলে আফরান গাজী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ