বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নির্ধারিত সময় তিন বছর শেষ হওয়ার পর আরও আড়াই বছর পেরিয়েছে। তারপরও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। বার বার তাগাদা দিয়েও কাজ না হওয়ায় অবশেষে নির্মাণাধীন ভবনেই চলতি শিক্ষাবর্ষে চারটি বিভাগে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম চালু করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের জন্য থাকার অস্থায়ী টিন শেডের বারান্দায় বসে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা। একটি সূত্র জানায়, দেশের ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ (টিএসসি) স্থাপন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
ঢাকার মেসার্স ঢালি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিমার্ণ কাজের দায়িত্ব পায়। প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবনসহ অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৪ কোটি ৫১ লাখ ৭২ হাজার ৩৪৫ টাকা। ২০১৯ সালের জুন মাস ছিল কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করে কয়েক দফায় আরও সময় বাড়িয়ে নেয়।
কাজ শেষ করার সর্বশেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু এ পর্যন্ত চার তলা বিশিষ্ট ভবনের শুধু ছাদ ঢালাইয়ের কাজ হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ হোসেন জানান, কাজ শেষ করার জন্য আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর চলতি ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অ্য্যাাপারেল ম্যানুফেকচারিং বেসিকস, ওয়েল্ডিং এন্ড ফেব্রিকেশন, জেনারেল ইলেকট্রনিক্স এবং সিভিল কন্সট্রাকশন অ্যান্ড সেফটি বিভাগে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির নির্দেশনা দিয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ৬০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ শেষ না হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অস্থায়ী টিন শেডের বারান্দায় বসে ১ জানুয়ারি থেকে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখানেই ক্লাস শুরুরও কথা রয়েছে। কিন্তু অবকাঠামো নির্মাণ অসমাপ্ত রেখেইে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করায় শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর বিষয়ে অভিভাবকদের আগ্রহে ভাটা পড়েছে।
অবিভাবকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠানের ঘর দরজা ঠিক না হতেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা ঠিক হয়নি। আর নির্মাণাধীন ভবনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার প্রশ্নটি থেকেই যায়। টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম এবং তত্ত্বাবধায়ক মিলান হোসেন প্রধান ইনকিলাবকে জানান, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেছেন। ঠিকাদারের লোকজনের থাকার ঘরের বারান্দায় বসে আপাতত কাজ চালাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর হঠাৎ করেই শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বলেছে। কিন্তু ভবন নির্মাণ কাজ এখনো অনেকাংশেই বাকি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ভর্তি করা আসলেই একটি সমস্যা। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী ইকবাল বলেন, সর্বশেষ গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ শেষ করার সময় নির্ধারিত ছিল। একাধিকবার তাগাদা দেওয়ার পরও তারা কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আর ক্লাস চালুর ব্যাপারে তাগাদা রয়েছে সেজন্য একটি ফ্লোর রেডি করে দেওয়া হবে বর্তমানে ক্লাস নেওয়ার জন্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।