Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংক্রমণের ভয়ে করোনা আক্রান্ত ছেলেকে গাড়ির ডিকিতে তালাবন্দি করলেন মা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২২, ৪:৩৫ পিএম

দেশে ও বিদেশে কোভিডের আতঙ্কে বহু রকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গত দুটো বছর। এবার আমেরিকার একটি ঘটনায় দেখা গেল মা-সন্তানের সম্পর্কের চেয়েও বড় হয়ে উঠেছে কোভিড সংক্রমণের ভয়!

করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে গাড়ির ডিকিতে কোভিড পজিটিভ ১৩ বছরের ছেলেকে তালাবন্ধ করে রাখলেন মা। ঘটনাটি ঘটছে আমেরিকার টেক্সাসে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় মায়ের বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। পলাতক মায়ের নামে জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও।

সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, বছর ৪১-এর ওই মহিলার নাম সারা বিম। টেক্সাস প্রদেশের হ্যারিস কাউন্টির বাসিন্দা তিনি। মহিলার বছর ১৩-র একটি ছেলে রয়েছে। সেই ছেলেই করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ছেলে সংক্রমণ মুক্ত হয়েছে কিনা তা জানতেই গত ৩ জানুয়ারি স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা করাতে সন্তানকে নিয়ে আসেন মহিলা। সেই সময়েই জানা যায় পেশায় স্কুল শিক্ষক মহিলা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে নিজের ছেলেকে তাঁর গাড়ির পিছনের ডিকিতে তালাবন্দি করে রেখে দিয়েছেন।

ঘটনা জানতে পেরে স্বাস্থ্যকর্মীরা সকলেই তাজ্জব বনে যান। শিশুটির কথা ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়েন তারা। যদিও ছেলেকে নিয়ে মহিলার মুখে কোনওরকম উদ্বেগের চিহ্ন দেখা যায়নি বলেই প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

তবে পুরো বিষয়টি বুঝতে পেরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তারা বেজায় ক্ষুব্ধ হন। তিনি ওই মহিলাকে বলেন, দ্রুত ডিকির তালা খুলে ছেলেকে বাইরে বের করুন। বুঝিয়ে বলা হয়, ওর কোভিড টেস্ট করাতে হলেও বাইরে আনতে হবে আগে। কিন্তু, কোনও কথাতেই ডিকির তালা খুলে ছেলেকে বাইরে বের করতে রাজি হননি ওই মহিলা। বরং জোরাজুরি করায় দ্রুত ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছেড়ে চলে যান তিনি।

এরপরেই ওই মহিলার নামে শিশু নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে স্থানীয় থানায়। জারি হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও। পুলিশ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মহিলা ও শিশুটির সন্ধানে তদন্তে নেমেছে। সূত্র: রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ