মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রাজিলের একটি হ্রদের ধারে থাকা পাহাড়ের একাংশ ধসে অবকাশযাপনের নৌকার ওপর পড়ে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আরও তিনজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পাহাড়ধসের ওই ঘটনায় অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছেন।
ব্রাজিলের ক্যাপিটোলিও অঞ্চলের পর্যটন স্পট ফার্নাস লেকে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে লেকের পাশে সুউচ্চ পাহাড়ি ঢাল। তা বেয়ে নামছে ঝরনা। লেকের পানিতে বোটে করে আনন্দ করছিলেন বেশ কিছু পর্যটক। কিন্তু আকস্মিকভাবে ওই পাহাড়ের একাংশ ভেঙে পড়ে কমপক্ষে ৩টি বোটের ওপর। এতে কমপক্ষে ৭ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন।
মিনাস গেরাইস ফায়ারফাইটার্সের কমান্ডার কর্নেল এডগার্ড এস্তেভো দা সিলভা বলেছেন, নিশ্চিত ৭ জন মারা গেছেন। শনিবার স্থানীয় সময় মধ্যদুপুরে ওই লেকের পাড়ের একটি পাথরময় পাহাড়ি অংশ আলাদা হয়ে যায়। প্রথমে ঝুর ঝুর করে তা থেকে মাটি পড়তে থাকে নিচে। তার সামান্য পরেই বিশাল একটি অংশ ভেঙে পড়ে পর্যটকদের ওপর।
ফার্নাস লেকের পানি দেখতে সবুজ। পাহাড় ঘের, গুহা এবং জলপ্রপাত একে দিয়েছে দর্শনীয় রূপ। তাই ছুটির দিনে পর্যটকরা ছুটে যান সেখানে প্রকৃতির রূপ অবলোকন করতে। কিন্তু শনিবার তাদের সেই আনন্দ বেদনায় রূপ নেবে, তা কে জানতো!
পাহাড় ধসের ওই দৃশ্য অন্য বোট থেকে ধারণ করা হয়েছে। এ সময় ওই ভিডিওতে পর্যটকদের চিৎকার শোনা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়টি ধসে পড়ার মিনিটখানেক আগে কয়েকজন সতর্ক করছেন এই বলে যে, পাথর ভেঙে পড়ছে। এ সময় অন্য বোটগুলোকেও এর কাছ থেকে সরে যেতে বলা হয়।
অনলাইনে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড় থেকে যখন শিলাগুলো ধসে পড়ছিল, তখন সেখানে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা হ্রদে চলা নৌকার চালকদের সতর্ক করার চেষ্টা করছিলেন। পাহাড়ের একাংশ ধসে একটি নৌকা ডুবে গেছে। তবে বাকি নৌকাগুলো সেখান থেকে সরে যেতে পেরেছে।
স্থানীয় অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, মিনাস জিরাইস রাজ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় এ দুর্ঘটনার আগে কয়েক দিন ধরে সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টির কারণে পাহাড়ের খাদগুলো কিছুটা নরম হয়ে ধসে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। সূত্র: এএফপি, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।