বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাগরের জলরাশি, দ্বীপাঞ্চলের সবুজ বনে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশে নির্মাণাধীন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির নামকরণ করা হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। নামকরণের বিষয়টি এরইমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ট্রাস্টের সভাপতি। বঙ্গবন্ধুর নামে কোনো স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করতে হলে ট্রাস্টের অনুমোদন বাধ্যতামূলক। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর কক্সবাজারে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর কক্সবাজারকে বাংলাদেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত করার পরিকল্পনা নেয় সরকার। রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরের ৯ হাজার ফুট রানওয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে আরো এক হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে সম্প্রসারণ হবে। আর এই ১৭০০ ফুট হবে বঙ্গোপসাগরের মহেশখালী চ্যানেলের ওপরে। যেখানে থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট। এছাড়াও সমুদ্র বুকের ৯০০ মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ লাইটিং।
সাগরের জলরাশি, দ্বীপাঞ্চলের সবুজ বনে ঘেরা এমন সৌন্দর্যমণ্ডিত এই বিমানবন্দর হবে এশিয়ায় দ্বিতীয়। এর আগে মালদ্বীপের বিমানবন্দরটি এরকম সুন্দর পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশের সবচেয়ে বড় রানওয়েটি হতে যাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দরে। আর এই রানওয়ের একটি অংশ থাকবে বঙ্গোপসাগরের ভেতরে। ১০ হাজার ৭০০ ফুট দীর্ঘ এই রানওয়ের ১৩০০ ফুটই থাকবে সমুদ্রের মধ্যে। বর্তমানে সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়েটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। এটির দৈর্ঘ্য ১০ হাজার ৫০০ ফুট। কক্সবাজারের রানওয়ের চেয়েও ২০০ ফুট দীর্ঘ। এর নির্মাণকাজ শেষ হলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে যখন উড়োজাহাজ অবতরণ করবে বা উড্ডয়ন করবে তখন উড়োজাহাজের দু’পাশে থাকবে বঙ্গোপসাগরের জলরাশি।
গত বছরের ২৯ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এই প্রকল্প কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমবারের মতো সমুদ্রের ওপর ব্লক তৈরি করে নির্মিতব্য কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কার্যাদেশ পেয়েছে চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিইসিসি)। দেশে প্রথমবারের মতো সমুদ্রবক্ষে নির্মিতব্য এই বিমানবন্দর নির্মাণে মোট খরচ হিসেব ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা।
জানা গেছে, মহেশখালী চ্যানেলের দিকে ভূমি অধিগ্রহণ করার মাধ্যমে রানওয়ে সম্প্রসারিত করা হবে। সম্প্রসারিত অংশ সমুদ্রের যেটুকু জুড়ে হবে সেখানে পানিতে ব্লক, জিওটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করে শুরুতেই একটি বাঁধের মত তৈরি করা হবে। পরে বাঁধের ভেতরকার পানি সেচ করে ফেলা হবে এবং গভীর সমুদ্র থেকে ড্রেজিং করে ভেতরে এনে ফেলা হবে বালি। বালি দিয়ে ভরাটের মাধ্যমে সমুদ্রের ওই অংশটি ভরাট হলে সেখানে ‘স্যান্ড পাইলিং’-এর মাধ্যমে রানওয়ের ভিত তৈরি করা হবে। সবশেষে পাথরের স্তর বসিয়ে পুরো রানওয়ে সিল করে দেওয়া হবে। তার ওপর হবে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। এরপর হবে রানওয়ের শোভাবর্ধন ও নির্দেশক বাতি স্থাপনের অন্য কাজ। অভিজ্ঞ মহলের মতে, বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো এই প্রক্রিয়ায় কোনো বিমানবন্দরের রানওয়ে তৈরি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।